পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান ও কম। যোগবশিষ্ঠে একটি বচন আছে উভাভ্যামেব পক্ষাভ্যাং যথা মে পক্ষিণাং গতিঃ । তথৈব জ্ঞানকর্মভ্যাং জায়তে পরমাং পদং ॥ এই জ্ঞান ও কর্মের অর্থ এ দেশে অন্যপ্রকার। এখানে জ্ঞানের "অর্থ ব্ৰহ্মজ্ঞান, যে জ্ঞান সন্ন্যাসকে আনয়ন করে ; কর্মের অর্থ ক্রিয়া • কাণ্ড । উক্ত উপদেশের মর্ম এই-- ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ক্রিয়াকাণ্ড অবহেলা করিলে চলিবে না। আমরা উহার আর-এক অর্থ করিতে পারি।-- প্ৰকৃত জ্ঞান ও প্রকৃত কর্ম যাহা, তাহা মানুষকে পরমেশ্বরের নিকট উপস্থিত করে। জ্ঞানের অর্থ বিশুদ্ধ সাত্ত্বিক জ্ঞান। জ্ঞানের প্রেরক অনেক ভাব “হইতে পারে। কোন ও জ্ঞানের মূল স্বার্থ। একজন সমাজতত্ত্ব, জগৎতত্ত্ব আলোচনা করিতেছে, অথচ তাহার মূলে স্বাৰ্থ থাকিতে পারে। ঐহিক মানসন্ত্রম লাভের বাসনা হয়ত সেই জ্ঞানের মূলে রহিয়াছে। এই জ্ঞান মানুষকে ব্ৰহ্মসদনে উপস্থিত করে না। আরএক প্রকার জ্ঞান আছে, তাহা অহংকার-প্ৰসুত । “আমি পণ্ডিত, আমি বুদ্ধিমান, চতুর, সূক্ষ্মদর্শনে সমর্থ, আমি জগতের প্রতিষ্ঠা ভাজনের উপযুক্ত” এইরূপ রাজসিক ভাব যে জ্ঞানের মূলে, তাহা মানবকে ব্ৰহ্মসদনে উপস্থিত করে না । আর-এক প্রকার জ্ঞান আছে, তাহা রাজসিক বা তামসিক নয়, অথচ সাত্ত্বিকও নয়। তাহার মূলে স্বাভাবিক কৌতুহল। এই ঘটনাটি কেন এইরূপ হইল, উহার ধর্ম কি, ইত্যাদি প্রশ্নের মীমাংসা করিবার জন্য এই জ্ঞান ব্যস্ত। এই কৌতুহলের নিন্দ করা উচিত নয়। এই স্বাভাবিক জিজ্ঞাসার ভাব Nტ o