পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্যাগেনৈকেনামৃতত্বমানশুঃ “ত্যাগেনৈকেনামৃতত্বমানতঃ ” পূর্বকালে মহাত্মারা ত্যাগ দ্বারাই ঈশ্বরকে প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। উপনিষদেরও পূর্বে যে-সকল ধাৰ্মিক লোক ছিলেন, তঁহার একমাত্র ত্যাগের দ্বারাই অমৃতত্বকে পাইয়াছিলেন। তাই উপনিষৎকার ঋষিগণ বলিতেছেন, আমাদের পূর্বের মহাত্মারা ত্যাগের দ্বারাই অমৃতত্ব প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। মানবাত্মা ত চিরদিনই অমর, ত্যাগের দ্বারা আবার অমর হওয়ার অর্থ কি ? উপনিষদে এ বিষয়ে উক্ত আছে - যদা সর্বে প্ৰভিদ্যন্তে হৃদয়স্যেহ গ্ৰন্থয়: । অথ মর্ত্যোহমুতো ভবত্যেতাবাদ নুশাসনম ৷ “যে সময়ে এখানে সমুদয় হৃদয়গ্ৰন্থি ভগ্ন হয়, তখনই জীব অমর হয়েন, এই মাত্র উপদেশ জানিবে৷ ” ইহার অর্থ এই- আমরা যখনই ‘অমর? ‘অমৃতত্ব” প্ৰভৃতি শব্দ ব্যবহার করিব, তখনই বুঝিব হৃদয়গ্ৰন্থি হইতে মুক্তি, সমুদয় কামনা হইতে নিষ্কৃতি। কিসের দ্বারা সেই সকল মহাত্মারা অমৃতত্বকে প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন ? ত্যাগের দ্বারা, কেবল ত্যাগের দ্বারা- ত্যাগেনৈকেন । ত্যাগ কাহাকে বলে ? অর্থাৎ ছাড়া। কাহাকে ছাড়া ? আপনাকে ছাড়া, স্বার্থনাশ করা। কেবল এই পথ ধরিয়া তাহারা অমৃতত্ব প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন । নিবিষ্টচিত্তে চিন্তা করিয়া দেখিলে অনুভব করিতে পারা যায় যে, আমরা যে-সকল মহাত্মার ও মহাজনের কীতি আলোচনা করিয়া থাকি, র্যাহাদের অনুসরণ করি, তাহারা সকলেই এই ত্যাগের দ্বারাই অমৃতত্ব পাইয়াছিলেন। মহাত্মাদের জীবনে কয়েকটি আশ্চর্য লক্ষণ আছে, যাহা চিন্তা করিলে তাহাদিগকে আর সাধারণ মনুষ্য মনে করা যায় না । তাহার কতিপয় লক্ষণ নির্দেশ করিতেছি। V