পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ç2ça: * মহম্মদের জীবনচরিত পাঠ করিলে জানা যায় যে, মিশরের রাজা মহম্মদকে উপঢৌকন দিবার জন্য র্তাহার নিকট দূত প্রেরণ করেন। মহম্মদ মক্কা জয় করিয়া ঈশ্বরের উপাসনা করিবার জন্য দেশের সমস্ত রাজাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া পাঠাইলেন। অপর সকল রাজাই মহম্মদের নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করিলেন, একমাত্র মিশরের রাজাই উপঢৌকন দিয়া মহম্মদের নিকট দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। দূত মহম্মদের নিকট উপস্থিত হইয়া প্ৰণাম করিয়া উপঢৌকন প্ৰদান করিল এবং মহম্মদের প্ৰজাবৰ্গ দেখিয়া দেশে ফিরিয়া আসিয়া রাজার নিকট এই বলিল যে, “মহারাজ, দশ হাজার মাথা না কাটিলে মহম্মদের বিনাশ-সম্ভাবনা নাই, তিনি এমনই প্রেমের দ্বারা সুরক্ষিতা।” রাজা তাহা শ্রবণ করিয়া অবাক হইয়া গেলেন। মহম্মদের এই প্ৰেমাকৰ্ষণ-শক্তি র্তাহার ধর্ম জয়ী হইবার কারণ। প্রেমের ভিত্তি ছিল বলিয়াই তাহার ধর্ম জগতে জয়লাভ করিয়াছিল। মহম্মদ যখন রোগে আক্রান্ত হইয়া শয্যাগত হইলেন, তখনও তিনি প্ৰত্যহ উপাসনার জন্য মসজিদে যাইতেন। ক্রমে যখন তাহার উৎখানশক্তি রহিত হইল, তখন দুইজন লোকের স্কন্ধে ভর করিয়া উপাসনা করিতে যাইতেন । যখন লোকে দেখিতে পাইল যে, মহম্মদ দাড়াইতে পারেন। না, দুইজন লোক তাহাকে ধরিয়া রাখিয়াছে এবং তিনি সেই অবস্থায় উপাসনা করিতেছেন, তখন চারিদিকের লোক উন্মত্তপ্ৰায় হইয়া “আল্লাহো-আকবর’ বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল। মহম্মদের সেই বিশ্বাসের আগুন সকলের হৃদয়ে জলিয়া উঠিল। প্রেমের যোগেই এই বৈদ্যুতিক শক্তি সকলের হৃদয়ে সঞ্চারিত হইয়াছিল । নেলসন যখন যুদ্ধকালে জাহাজের উপরে গিয়া সকলের নিকট দণ্ডায়মান হইতেন, তখন সমস্ত সৈন্য উন্মত্ত হইয়া যাইত, কেননা তাহার