পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের সংস্পশ ঈশ্বর-প্ৰেম হৃদয়ে অবতীর্ণ হউক, চক্ষু খুলিয়া যাইবে, সকলই নূতন হইবে, জগতের সৌন্দৰ্য দেখিয়া প্ৰাণ মুগ্ধ হইয়া যাইবে । বিশ্বাসীরা যেন আরএক চক্ষে জগৎ দেখিয়াছিলেন এবং তাহা হইতে র্তাহারা অমূল্য উপদেশ লাভ করিয়াছিলেন। পাখি ডাকে, ফুল ফুটে, ইহা চিরকালই হইতেছে কিন্তু ইহা দেখিয়াই যীশু বলিয়াছিলেন, “পাখির বীজ বপন করে না, তবুও ঈশ্বর তাহাদিগকে খাইতে দেন ।” ফুলকে কেমন সুন্দর করিয়া ঈশ্বর সাজাইয়াছেন । প্রেমের চক্ষে গাছের দিকে চাও, অনেক উপদেশ লাভ করিবে। বসন্ত-সমাগমে বৃক্ষ নূতন পত্রে শোভিত হয়, আর ইহা কি সম্ভব যে, ঈশ্বর আমাকে সাজাইবেন না ? প্রেমের চক্ষে চারিদিকে দেখ, উপদেশ পাইবে । জগৎপিতা প্রেমের দ্বারা জগৎকে চিত্রিত না করিলে জগৎ এত সুন্দর হইত না । শীত-নিবারণের জন্য পাখিকে পালক দ্বারা তিনি আবৃত করিয়াছেন, আমার আত্মাকে কি তিনি রক্ষা করিবেন না ? বিশ্বাসীরা কেন জগৎ হইতে উপদেশ গ্ৰহণ করেন ? তাহারা জগৎকে প্রেমের চক্ষে দেখেন বলিয়া। প্রেমের চক্ষে প্রাচীন সাধুদিগের দিকে দৃষ্টিপাত কর, প্ৰাচীন শাস্ত্ৰসমূহ দৰ্শন কর, অনেক উপদেশ লাভ করিবে । প্ৰেমবিহীন চক্ষে দেখিয়াছিলে বলিয়াই কোনও তত্ত্ব গ্ৰহণ করিতে পার নাই। অপ্রেমের চক্ষে পুস্তক পডিয়া দেখিয়াছি, পাতার পর পাতা উল্টাইয়া গিয়াছি, কিছুই পাই নাই। কিন্তু যখন ঈশ্বরকৃপায় প্রেমের চক্ষু খুলিয়াছে, দেখিয়াছি, প্ৰতি পংক্তি আমার নিকট আশার কথা বলিতেছে। প্ৰেমই চক্ষের আলোক । প্ৰেমবিহীন চক্ষে মানুষকে প্ৰকৃতভাবে চেনা যায় না, প্ৰেমহীন হইলে অপরের দোষ সহজেই চক্ষে পতিত হয়। “অমুক বড় অহংকারী, অমুকের অমুক দোষ” ইত্যাদি ভাব মনে উদয় হয়। প্ৰেমহীন হইলে ዓ ò