পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ “ঈশ্বরের ঘরের একমাত্র আমিই অধিকারী, অন্য কেহ আসিতে পরিবে: না” ইত্যাদি ভাব মনে উদয় হয়। ঈশ্বর-কৃপায় হৃদয়ে প্ৰেম আসিলে আর কাহাকেও পর ভাবিতে পারি না, সকলই যেন আপনা, কাহাকেও দূরে রাখিতে ইচ্ছা হয় না। যাহাকে পাপী বলিয়া ঘৃণা করিয়াছি, প্রেমের চক্ষে সে ভাল লোক হইয়া গেল । প্ৰেমবিহীন হইয়া কখনও উপাসনা করিবে না। কেবল ঈশ্বরের নাম করিলে উপাসনা হয় না, প্ৰেম দিয়া পূজা না করিলে তাহার পূজাই হয় না। হৃদয়ে প্ৰেম না পাইয়া থাকিলে কিছুই জানিতে পরিবে না। “ঈশ্বরই প্ৰেম, প্ৰেমই ঈশ্বর।” ব্ৰাহ্মসমাজ কিরূপে সংগঠিত হইবে ? যত প্রকার বন্ধনের রজ্জ্ব আছে, সকলই বাহিরের বন্ধন, তাহা খুলিয়া যাইবে যদি তাহা প্ৰেমহীন হস্তে বাধা হয়। বিবাহ-বন্ধন, পরিবার-গঠন প্ৰভৃতি কিসের দ্বারা হয় ? প্রেমের বন্ধনে। যদি আমরা অপ্রেমের অস্ত্ৰ দিয়া প্রেমের রজ্জ্ব কাটিয়া দিই, তবে কিরূপে ব্ৰাহ্মসমাজ সংগঠিত হইবে ? প্রেমাপরাধ অতি গুরুতর অপরাধ । যেখানে অধীনতা, সেখানে প্ৰেম হয় না । অধীনের সঙ্গে স্বাধীনের প্রেম হয় না। প্রেমের প্রাণ স্বাধীনতা। জগদীশ্বর কি আমাদিগকে জগতের অপর নিকৃষ্ট প্রাণীদিগের ন্যায় করিয়া সৃষ্টি করিতে পারিতেন না ? কেন তবে আমাদিগকে স্বাধীন করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন ? যেখানে ভয় আছে, যেখানে প্ৰেম নাই। যেখানে পতি পত্নীকে ভয় দেখাইয়া বাধ্যা করিতে চান, সেখানে প্ৰেম নাই। তবে কিরূপে স্বাধীন থাকিবে অথচ অধীন হইবে ? প্ৰেম পূর্ণ স্বাধীনতা প্ৰদান করে, পূর্ণ অধীনতাও আনয়ন করে। ঐক্যতান বাদ্য কেমন সুন্দর। যন্ত্রগুলি এক সঙ্গে বাজিতেছে, প্ৰত্যেকের নিজ নিজ সুর বাজিতেছে, by a