পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধমলাভের অধিকারী কে ? OD KY0LD DJDGS SSL DS DBBDS LYYS যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তস্ত্যৈষ আত্মা বৃণুতে তনুং স্বাম। অর্থ- এই আত্মাকে অনেক উত্তম বচন ( বেদাধ্যাপন ) বা মেধা বা বহুশাস্ত্ৰজ্ঞান দ্বারা লাভ করা যায় না । যিনি তঁাহাকে প্রার্থনা করেন, তিনি তাহাকে প্ৰাপ্ত হন। তঁহার নিকটেই তিনি স্বকীয় স্বরূপ প্ৰকাশ করেন। আর-এক অর্থ এই যে, তিনি অর্থাৎ পরমাত্মা র্যাহাকে বরণ করেন, সেই তাহাকে পায়। এই বচনের প্রথমেই আমরা দেখিতে পাই যে, শুধু বেদশ্রবণের দ্বারা বা মেধার দ্বারা কিংবা শাস্ত্ৰজ্ঞান দ্বারা সেই পরমাত্মাকে কেহ লাভ করিতে সমর্থ হয় না। সচরাচর মানব এই তিনটি জিনিসের কোনও একটি লইয়াই প্ৰসন্ন থাকে এবং প্ৰকৃত ধৰ্মজীবন লাভ না করিয়াও সন্তুষ্ট থাকে। এই জন্য ঋষিরা সেই তিনটি বিষয়কে ধৰ্মজীবন-লাভের অন্তরায বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। প্ৰথমত এক শ্রেণীর লোক আছেন, তাহারা সাধু মহাত্মাদিগের মুখনিঃস্থত উত্তম উত্তম কথা সংগ্ৰহ করিয়া, লোকের নিকট সুললিত ভাষায় গদগদ ভাবে তাহ বলেন, এবং তাহাতেই তাহারা প্ৰশংসা লাভ করিয়া থাকেন। যীশু, কনফিউস, সিসিরো, সেনেকা, যাজ্ঞবল্ক্য, বুদ্ধ, চৈতন্য প্রভৃতি মহাত্মাদিগের অনেক বচন সংগ্ৰহ করিয়া, নিজ জীবনে তাহা স্বীয় সম্পত্তি রূপে পরিণত না করিয়াই লোকের নিকট বলিয়া থাকেন এবং তদদ্বারা আত্মপ্ৰসাদ লাভ করেন । এ স্থলে বলা আবশ্যক যে, সাধু-উক্তিসকল যে পড়িতে হইবে না, তাহ নয় ; ধর্মসাধনার্থীদিগের পক্ষে ইহা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। কিন্তু ধর্মসাধনের পক্ষে ইহা প্ৰয়োজনীয় হইলেও ইহাতে আমাদিগের মরণের আশঙ্কাও bb