পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ মেধা দ্বারা প্রখরা বুদ্ধি দ্বারাও লোকে প্ৰতারিত হইয়া থাকে। যাহাদের নিজের বেশি শক্তি নাই, বাগিতা নাই, তাহদের এইরূপ বিপদেরও আশঙ্কা নাই, তাহারা নির্জনে বসিয়া ঈশ্বর-সঙ্গ লাভ করিতে সমর্থ হয়। ঈশ্বরের দাস হইতে হইলে এবং মানবের সেবা করিতে হইলে এক দিকে এই মেধাশক্তির যেরূপ বিশেষ প্ৰয়োজন, আবার অন্য দিকে এই মেধাশক্তি মানবকে বিপদেও ফেলিয়া থাকে। “এই লোকটার কি আশ্চর্য বলিবার শক্তি, বেশ কৃতী লোক”- এইরূপ ভাবে লোকের নিকট হইতে প্ৰশংসা লাভ করিয়া নিজেও প্ৰতারিত হয় এবং জগতের লোকদিগকেও প্রতারণা করিয়া থাকে। কিন্তু প্ৰকৃত নির্ভর, বিনয়, প্রেম ও বৈরাগ্য জীবনে আসে কি না তাহা একবার চাহিয়াও দেখে না। তোমার মুখ লোকের প্রশংসার দিকে ফিরিয়া রহিয়াছে, না। ঈশ্বরের চরণের দিকে, তাহার রূপার দিকে আছে ? র্যাহারা কৃতী, তেজস্বী, বক্তৃতাকারী এবং কর্মশীল, তঁহাদের এই প্রকার বুদ্ধি তাহদিগের ধর্মজীবনের পথে বাধাস্বরূপ হইয়া, তাহাদিগকে ঈশ্বর- চরণের দিক হইতে ফিরাইয়া রাখে, এবং ঈশ্বরের কৃপা হইতে বঞ্চিত করিয়া দেয়। তৃতীয়ত, বহুনা শ্রতেন । বিজ্ঞানবিদ এবং দর্শনকারের যুক্তি আলোচনা করিয়া এবং সমুদয় গ্রন্থ অধ্যয়ন করিয়া যাহারা জীবন অতিবাহিত করে, তাহদেরও এই বিপদ। অবশ্য এই সমুদয় ও ধর্মসাধনের পক্ষে নিতান্ত প্ৰয়োজনীয়। এই শাস্ত্ৰপাঠও ধর্মার্থীর পক্ষে একান্ত আবশ্যক । আচার্যের নিকট বিমীয়াবনত হইয়া উপদেশ গ্রহণ করাও নিতান্ত আবশ্যক। কিন্তু ইহাতেও আবার মানবের মনে আত্মপ্রতারণা ও জ্ঞানাভিমান আনয়ন করিয়া থাকে । “আমি বড়ই জ্ঞানী, আমি সবই বুঝি, অপর কেহ কিছু বুঝে না”— এইরূপ অভিমানে তাহারা ডুবিয়া থাকে, ঈশ্বরকে চায় না, শুধু নিজের প্রশংসাই চায়। এই জন্য ঋষিরা Б) ә