পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মলাভের অধিকারী কে ? বলিয়াছেন যে, শ্রবণের দ্বারা, মেধার দ্বারা কিংবা শাস্ত্ৰজ্ঞান দ্বারা যে ঈশ্বরকে পাইবেই পাইবে তাহা নয়, বরং না পাওয়ারই অধিক সম্ভাবনা । উপরোক্ত গুণ এবং শক্তি -সম্পন্ন লোকদেরই বেশি ভয় । অনেক বার এইরূপ দেখিয়াছি যে, কোনও স্থানে হয়ত প্রচারকার্যে গিয়াছি। সেখানে সাধারণ লোক, বেনে, দোকানদার প্রভৃতিই অধিক । নিজকে অজ্ঞ বলিয়া যাহারা জানে, এইরূপ লোকই বেশি। শাস্ত্ৰাভিমানী ধর্মের পাণ্ডাও যে না আছে এমন নয়। যেমন ধর্মের মাহাত্ম্য বর্ণনা করিয়া ভগবদ ভক্তি ও ভগবৎপ্রেমের কথা বলিলাম, তখন দেখিলাম, সর্বসাধারণের মন একেবারে গালিয়া গিয়াছে ; তাহারা বলিল, “বাঃ, বাঃ, মহাশয়, কি চমৎকার কথাই বলিলেন।” অপর দিকে সেই জ্ঞানাভিমানী ধর্মের পাণ্ডারা শুনিয়া হাসিতে লাগিল এবং বলিতে লাগিল, “তোমরা যা বলিলে, তা ঠিক নয়, ভুল । ও কথার এরূপ ব্যাখ্যা নয়, ইহার অন্যরূপ ব্যাখ্যা আছে” ইত্যাদি । সেণ্ট পল যখন করিন্থবাসী দিগকে উপদেশ দিয়াছিলেন, তখন করিন্থিবাসী জ্ঞানাভিমানীরা তাহাকে উপহাস করিয়াছিল। এইরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, জ্ঞানাভিমানীরাই বেশি শক্ৰতা করিয়া থাকে. এবং তাহারাই ধর্মের পথে আন্তরায় হইয়া দাড়ায় । এই জন্যই ঋষিরা বলিয়াছেন যে, এই তিনটিই ধর্মপথের অন্তরায় । যে চায়, সেই তাহাকে পায়। ঈশ্বরকে চাওয়া কি প্ৰকার ? মানুষ যে ধন, মান, সুখ, প্ৰতিপত্তি চায়, তার অর্থ কি ? যতদিন ধন তোমার আমার ইচ্ছাধীন নয়, তুমি আমি ইচ্ছা করিলে তাহা সম্ভোগ করিতে পারি না, ততদিন ধন তোমার আমার নয়। যখন সেই ধন আমার ইচ্ছাধীন হইল, ইচ্ছা করিলেই আমি তাহার ব্যবহার করিতে পারি এবং তাহা আমার অভাব পূরণ করিতে পারে, তখনই ধন আমি GQ d)