পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রমথ হেসে বলে, বটে ! তোমার বাপের নাম কি গো বাছা ? গোবৰ্দ্ধন তোমার কে হয় ? রেবতী নিজের পরিচয় দেয়, সলাজ ভাবে বলে, ওই যে সাপে-কাটা একজনকে বঁচিয়ে ছিল একটা মেয়ে ?-আমি সেই রেবতী । বটে। গোবিন্দই বুঝি সেই সাপে-কাটা মানুষ -এসো তো বোন, ঘরে এসে একটু বসে দুটো সন্দেশ মুখে দিয়ে যাও। পা ধুয়ে রেবতী বড় ঘরের দাওয়ায় গিয়ে বসে, একেলে পাড়ের রঙ্গীন শাড়ী আর শায়া-ব্লাউজ-পরা একটি বৌ রান্নাঘর থেকে খুন্তি হাতে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করে, কে ८शा ? প্রমথ বলে, এ আমাদের সেই রেবতী গো । বৌটি হাসিমুখে রেবতীর বিবরণ শোনে আর রেবতী ভেবে পায় না। তাকে কি করে এই পুজারী বামুনটির বৌ ভাববে | গতকালের ধুতি-পাঞ্জাবী-পরা লোকটির বৌ বরং ভাবা যায়। কিন্তু এরকম একেলে ফ্যাসানের বেশভুষা, কি করে খাপ খায় এই বেশধারী প্ৰমথের সঙ্গে । রেবতীকে নৈবিদ্যের সন্দেশ কলা ইত্যাদি খেতে দেওয়া হয়, অনেকক্ষণ ধরে অনেক কথাই তারা জিজ্ঞাসা করে, তারপর হাসিমুখে প্রমথ বলে, পরশু নাগাদ গোবিন্দের খবর পাবে, কিন্তু একটা কথা দিতে হবে। তোমাদের বিয়েতে আমায় পুরুতি করতে হবে। রেবতী একটু হাসে।