পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰায় গা ঘেষে সে এভাবে দাড়িয়ে আছে এটা এই অবস্থাতেও অনেকের বড়ই দৃষ্টিকটু লাগে। একটা মানুষকে সদ্য সদ্য ভয়ানক বিষাক্ত সাপ কামড়েছে, হয় তো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মানুষটা মরে যাবে। তবু অল্পক্ষণের জন্য লজ-সরম ভুলবার অধিকারও রোবতীর নেই। বড় ভাই কুঞ্জ কড়া সুরে বলে, ঘরে যা না ? রেবতী আনমনে বলে, যাই। किरछ cन नए न। গোবিন্দের ক্ষতস্থানে লতা-পাতার ও গুণযুক্ত দ্রব্যাদি। দেওয়া সুরু হয়েছিল বিজ্ঞ কয়েকজন হাজির হবার পরেই। তাকে হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থাও হচ্ছিল। মথুর গাড়ী জুতিতে গেছে, এসে পড়ল বলে । অঘোর মেয়েকে ধমক দিয়ে বলে, ঘরে যা না হারামজাদি, কাপড় ছাড়া না গিয়ে ? একটু তফাতে কয়েকটি মেয়ে বৌ জড়ো হয়েছিল, তার মধ্য থেকে চারুর তীক্ষা গলার ঝাঁঝালো ধমক আসে, বুতি। এদিকে আয় মুখপুড়ী মেয়ে। রোবতীও তীক্ষ্ণ গলা চড়িয়ে বলে, যাচ্ছি গো যাচ্ছি। একটা মানষের মরণ-দশা, তোমরা যেন কেমন কর। বলে পাগলী মেয়ে করে কি, হাঁটুপেতে বসে আঁচল দিয়ে গোবিন্দের ক্ষতস্থানের ছেচ লতা-পাতা বিষ-চোষা পাথর আর রক্ত আঁচল দিয়ে মুছে সেইখানে মুখ দিতে যায়। R