এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২০
অপেক্ষা
বধূরা দেখো আইল ঘাটে,
এল না ছায়া তবু।
কলসঘায়ে উর্মি টুটে,
রশ্মিরাশি চুর্ণি উঠে,
শান্ত বায়ু প্রান্তনীর
চুম্বি যায় কভু।
দিবসশেষে বাহিরে এসে
সেও কি এতখনে
নীলাম্বরে অঙ্গ ঘিরে
নেমেছে সেই নিভৃত নীরে,
প্রাচীরে ঘেরা ছায়াতে-ঢাকা
বিজন ফুলবনে!
স্নিগ্ধ জল মুগ্ধভাবে
ধয়েছে তনুখানি।
মধুর দুটি বাহুর ঘায়
অগাধ জল টুটিয়া যায়,
গ্রীবার কাছে নাচিয়া উঠি
করিছে কানাকানি।
কপোলে তার কিরণ প’ড়ে
তুলেছে রাঙা করি,
মুখের ছায়া পড়িয়া জলে
নিজেরে যেন খুঁজিছে ছলে—