এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২১
অপেক্ষা
জলের ’পরে ছড়ায়ে পড়ে
আঁচল খসি পড়ি।
জলের ’পরে এলায়ে দিয়ে
আপন রূপখানি
শরমহীন আরামসুখে
হাসিটি ভাসে মধুর মুখে,
বনের ছায়া ধরার চোখে
দিয়েছে পাতা টানি।
সলিলতলে সোপান-’পরে
উদাস বেশবাস!
আধেক কায়া আধেক ছায়া
জলের ’পরে রচিছে মায়া,
দেহেরে যেন দেহের ছায়া
করিছে পরিহাস।
আম্রবন মুকুলে-ভরা
গন্ধ দেয় তীরে।
গোপন শাখে বিরহী পাখি
আপন মনে উঠিছে ডাকি,
বিবশ হয়ে বকুল ফুল
খসিয়া পড়ে নীরে।
দিবস ক্রমে মুদিয়া আসে,
মিলায়ে আসে আলো।