শ্রাবণের পত্র
শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে লিখিত
- বন্ধু হে,
পরিপূর্ণ বরষায় আছি তব ভরসায়,
কাজকর্ম করো সায়—এসো চট্পট্।
শাম্লা আঁটিয়া নিত্য তুমি কর ডেপুটিত্ব,
একা প’ড়ে মোর চিত্ত করে ছট্ফট্।
যখন যা সাজে, ভাই, তখন করিবে তাই;
কালাকাল মানা নাই, কলির বিচার!
শ্রাবণে ডেপুটিপনা এ তো কভু নয় সনা-
তন প্রথা, এ যে অনা-সৃষ্টি অনাচার।
ছুটি লয়ে কোনোমতে, পোট্মাণ্টো তুলি রথে
সেজেগুজে রেলপথে করো অভিসার।
লয়ে দাড়ি লয়ে হাসি অবতীর্ণ হও আসি,
রুধিয়া জানালা-শাসি বসি একবার।
বজ্ররবে সচকিত্ কাঁপিবে গৃহের ভিত,
পথে শুনি কদাচিৎ চক্র-খড়্খড়্!
হা রে রে ইংরাজ-রাজ এ সাধে হানিলি বাজ!
শুধু কাজ, শুধু কাজ, শুধু ধড়্ফড়্।
আম্লা-শাম্লা-স্রোতে ভাসাইলি এ ভারতে—
যেন নেই ত্রিজগতে হাসি গল্প গান,
নেই বাঁশি, নেই বঁধু, নেই রে যৌবনমধু,
মুচেছে পথিকবধু সজল নয়ান।