পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि aiहॉवनी পর্যন্ত তার সজল হয়েছে। তখন পরিচয় হয় নি, শৈলেশ শুধু পরিচয় দিয়েছিল। এবার নিচে নেমে এসে তারকের সঙ্গে ভাত খেতে বসে মনোজিনী নিজেই তার বিস্তারিত পরিচয় দিল । মনোজিনীর স্বামী বনবিহারী ছিল এক কলেজের লেকচারার, মাস ছয়েক হ’ল জেলে আছে। তার বছরখানেক আগে তাদেৱ বিয়ে হয়েছিল এবং এই বাড়িতে দু’জনে সংসার পেতেছিল-অর্থাৎ বাস করছিল। বনবিহারী জেলে যাবার পর বাড়ি ছেড়ে যেতে মনোজিনীর মন চায় নি, বাপ মা ভাই বোন সেধে সোধে ফিরে গেছে। শেষে পাটির কয়েকজন মিলে शङ्क्नेि। ७ाएछ। নিয়েছে এবং একসঙ্গে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । “কিন্তু তাই বলে যেন মনে করবেন না দিনরাত আমি ককিয়ে কঁাদছি ভেতরে ভেতরে। আমার চেহারাটাই ওমনি, দেখলেই মনে হয় একটা অদ্ভুত মনোকষ্টে আছি । এ অবস্থায় যতখানি দুঃখ হওয়া উচিত তার বেশী সত্যি কিছু হয় নি।” সামন-সামনি পিড়িতে বসে দু’জন একসঙ্গে খাওয়া সুরু করেছিল। তারকের থালাটা আগে সাফ হয়ে যাওয়ায় মনোজিনী ভাত গিলে হাসল ৷-“ইস। আপনি মফস্বল থেকে আসছেন, এমন যোয়ান চেহারা আপনার, আমার একবার খেয়ালও হয় নি চাল বেশি নিতে হবে । আপনার জন্য মাছ আনা হ’ল বিশেষ করে, খেলেন অ্যাধপেটা ৷ কি আর করবেন, ওবেলা পেট ভরে খাবেন ।”

  • আপনারা মাছ খান না ?? “খাই । পয়সা বাড়লেই খাই । জানেন তো আমাদের অবস্থা, কেউ চাকরী করে, কেউ শুধু আমাদের কাজ করে, চাকরীর জন্যে তাদের স্পেয়ার করা চলে না। সবাই তো খাবে ??

তাৱক জোর দিয়ে বলল, “খাবে বৈকি। না খেলে কি চলে ?” মনোজিনী স্বাভাবিক বিষাদে হাসল, “চলে না ? বহু বহু লোকের না খেয়ে চলছে । একেবারে ফুটপাত থেকে নরক পর্যন্ত। তবে আমরা ডাল ভাতটা কিছু পরিমাণে খাই । তাই কয়েকজনকে চাকরী করতে দেওয়া হয়। যেমন ধরুন আপনি, কায়দা-কানুন ভাল করে শিখতে আপনার দু’চার বছর লাগবে। এই দু’চার বছর আপনি চাকরী করলে পার্টির লাভ বই ক্ষতি নেই।”