পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WVb মানিক-গ্ৰন্থাবলী রাধাই নদীর ঘোলাটে জলস্রোতই যেন আজি সদানন্দকে আনুমনা করিয়া দিতেছে। বিপিনের প্রশ্নের মানে বুঝিতে দুবার শুনিতে হয় না, মুখের রেখা, চোখের দৃষ্টির মানে বুঝিতে দুবার চাহিতে হয় না। আনমনা হইয়া না-বুঝার ভাণ করাই गद C5Cन्न गछ्छ । “হ্যা, বল গে” আমি এখানে আছি।” বহুকাল শিষ্যত্বের অভিনয় করিতে করিতে কিভাবে যেন বিপিনের সংযম অভ্যাস হইয়া YYSS BD DDS KBDDDS DS DDD DBBDBS BDB B DDD D DD DBKD GG BB করে না, যদি বা করে, অন্তরালে করে। জীবনের সমস্ত অসংযম তার গোপনীয়। সদানন্দের বোকামিতে রাগে গা জলিয়া গেলেও তাই সে শুধু বলিল, “প্ৰভু? সদানন্দ চুপ। আনমনে কথা বলার চেয়ে নীরবে আনমনা হওয়া ঢের সহজ। একটু অপেক্ষা করিয়া বিপিন কুটীরের দিকে চলিয়া গেল। আর ফিরিয়া আসিল না । সূৰ্য্য নামিয়া গেল তপোবনের গাছের আড়’লে, মেয়েদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিল, DBDBDBD K DB KKD DBBBDS Dg KK দিবার অনুমতি দিয়া সদানন্দ ঠায় বসিয়া রহিল। রক্তমাংসের দেবতার মত। দেবতার মতই তার মূৰ্ত্তি, বটতলার ছবির মহাদেবের ছাচে ঢালিয়া যেন তার সৃষ্টি হইয়াছে। আসন করিয়া বসায় ভুড়ি গিয়া প্ৰায় ঠেকিয়াছে পায়ে এবং তাতেই যেন মানাইয়াছে ভাল। নয় তো এই বৃষস্কন্ধ বিশালদেহ পুরুষের চওড়া বুক আর পেশীবহুল, সুডৌল বাহু দেখিয়া মনে হইত, দেহের শক্তি ভিন্ন আর বুঝি তার কিছু নাই। কথায় তাহা হইলে মানুষ মুগ্ধ হইত, কারও ভক্তি জাগিত কিনা সন্দেহ। মাথায় জটা নাই বলিয়াই ভক্তেরা অনেকে মনে মনে আপশোষ করে। যার সৌম্য প্ৰশান্ত মূৰ্ত্তি স্বৈৰ্য্যের নিখুত প্ৰতীক, জটা ছাড়া कि टांक भांनांध সদানন্দের কুটীরের সদর আর কিছুই নয়, বড় একখানা ঘর। মেঝে লাল সিমেণ্ট করা, দেয়াল গেরুয়া রঙের-বাদামী ভাবটা একটু প্রকট। আশ্রমের ছোট বড় সমস্ত ঘরই এই ধরণের, “উপরের ছাউনি ছাড়া বাকী সব চুণসুরকি ইটকাঠের ব্যাপার। কিন্তু বিপিনের ভাষায় এগুলি সব কুটীর। সদরের ঘরখানায় কতকটা বৈঠকখানার কাজ চলে, মাঝে মাঝে ভক্ত ও দর্শনাধীদের ছোটখাট DCDM BBLS SDDB DE DBD D DBDDBDB EEE মজলিসের মত, সকলে অনেক বিষয়ে স্বাধীনতা পায়। সদানন্দকে যেমন ব্যক্তিগত সুখদুঃখ দ্বিধাসন্দেহ নিবেদন করা চলে; তেমনি চলে নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আলাপ আলোচনা, এমন কি উঁচু গলায় তফাতের মানুষকে জিজ্ঞাসা পৰ্য্যন্ত করা চলে, কেমন আছ ভায়া । শিষ্য ও ভক্তের BTDBDDBD LKD DBD sLKLSDBB BD আটচলার নীচে এদের সঙ্গে তার যে ব্যবধানটা থাকে প্ৰায় দেবতা ও অধঃপতিতের, এখানে সেটা হয় অবতার ও মানুষের। কত তুচ্ছ বিষয়েই মাথা । ঘামায় সদানন্দ, কত তুচ্ছ মানুষের কত তুচ্ছ পারিবারিক জীবনের কত তুচ্ছ খবরই যে জানিতে চায়। আগ্রহ দেখায় না বটে, দুঃসংবাদে বিচলিত হয় না, সুসংবাদে খুলীও হয় না, তবু নিৰ্বিকার, সহিষ্ণুতার সঙ্গে কান পাতিয়া সব কথা তো শোনে, মুখ ফুটিয়া তো বলে “তাই নাকি? অথবা 'বেশ বেশ’ । সদর পার হইয়া আসিলে অন্দরের উঠান, ফুলের চারায় ও ফলের গাছে বাগানের মত । একপাশে প্ৰকাণ্ড একটা বঁধানে ইদারা, জল বড় মিষ্টি আর ঠাণ্ডা । গরমের দিনে সুৰ্য্য যখন মাথার উপরে থাকে আর ইদারার নতুন সিমেণ্ট করা গোলাকার চওড়া বাধাটা হইয়া থাকে আগুন, হামাগুড়ি দিয়া একটিবার শুধু ক্ষণেকের জন্য ভিতরে উকি দিলে মনে হয়, জলে ডুবিয়া মারাই বুঝি ভাল : পুণমার চাঁদের আলোতেও অত নীচের জল তো দেখা যায় না, গরমের দিনে রাত্রে তাই যেভাবেই হোক মরার সাধ জাগানোর জন্য খালি গায়ে ঠাণ্ডা সিমেণ্টে গা এলাইয়া দিতে সাধ যায়। ফুরফুরে হাওয়া থাক, অথবা দারুণ গুমোট হোক, রাশি রাশি ফুলের ঘন মিশ্রিত গন্ধে প্ৰথমে মন কেমন করিয়া ঘুম আসিয়া পড়ে, এইটুকু যা অসুবিধা । একদিনও কি সদানন্দ পুরা একটা ঘণ্টা জাগিয়া থাকিতে পারিয়াছে । উঠানের একদিকে সদর, বাকী তিনদিকেই SK BDJDD BDBO DBLB DD DBDYSD ঘরের সামনে নাই। অন্দর পার হইয়া নদীর দিকে अख:भूद्ध । उख्र:भू८ब्र७ ऐठंॉन यांtश्, छब অন্দরের উঠানটির তুলনায় আকারে অনেক ছোট আর আগাগোড়া সিমেণ্ট করা। না আছে ফুলের চারা, না আছে। ফলের গাছ, শুধু ঝকঝকে ভকতকে মাজাঘষা পরিচ্ছন্নতা। এক কোণে কেবল একটা তালগাছ আকাশে মাথা তুলিয়াছে, হঠাৎ দেখিলে