পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

历吸夜时4 কাছে গ্ৰহণ করিতে চায় না । সুন্দর ছিপছিপে গড়ন তার LLBSLDE D DDDD DDD DB BBDS BBBLYS পেশীগুলি স্পষ্ট ও পুষ্ট হইয়া উঠিতেছে কিন্তু এখনও কঠিন হয় নাই। প্রথম হইতেই রাজকুমার কেমন মৃদু একটু ঈর্ষা বোধ করিতেছিল। এতক্ষণ বিশ্বাস করিতে পারে নাই ; সুগঠিত মাংসপেশীর জন্য একজন তরুণকে সে হিংসা করিবে ? এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কি হইতে পারে। কিন্তু ছেলেটার তেজ দেখিয়া রাগে ভিতরটা জালা করিতেছে জানিয়া, গলা ধাক্কা দিয়া ছেলেটাকে বাড়ীর বাহির করিয়া দিবার ইচ্ছা! জোর করিয়া চাপিয়া রাখিতে হইতেছে বলিয়া, ঈৰ্যার অস্তিত্বটা আর নিজের কাছে অস্বীকার করা গেল না । একটু আগে যার উপর গভীর মমতা জাগিয়াছিল, এখন তাকে আঘাত করিতে ইচ্ছা হইতেছে, মালতীর প্রতি তার প্ৰথম যৌবনের ভাবপ্রবণ অন্ধ ভালবাসার সুযোগ নিয়া হীন কাপুরুষের মত অকারণ নিষ্ঠুর আঘাত করিবার সাধ জাগিতেছে। শ্যামল বলিল, বলুন ? জবাব দিন ? जूमि य७ थांभळ । আমার কথাটার জবাব দিন আগে ? আপনার উদ্দেশ্যটা জানিয়ে দিন, আমি এক সেকেণ্ডও আপনাকে জ্বালাতন করব না । মুখখানা শ্যামলের কালো হইয়া গিয়াছিল, রাজকুমারের সাডা শব্দ না পাইয়া হাতেব্য উণ্টা পিঠ দিয়া সজোরে সে একবার কপালটা মুছি যা ফেলিল। কপাল তার ঘামিয়া উঠিয়াছে। বুঝতে আমি পারছি, উদ্দেশ্য ভাল হলে এত ইতস্ততঃ করতেন না। তবু আপনার মুখ থেকে একবার শুনতে চাই। শুনে কি করবে ? প্রশ্নটা যেন বুঝিতেই পরিল না, এমনি ভাবে শ্যামল খানিকক্ষণ তার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তারপর ধীরে ধীরে বলিল, কি করব ? তা জানি না। আপনি তো জানেন আমার কিছু করবার ক্ষমতা নেই। তুমি শুধু জানতে চাও ? একমুহূর্তে রাজকুমার যেন নিজেকে ফিরিয়া পাইল । কি ছেলেমানুষীই এতক্ষণ সে করিয়াছে এই ছেলেমানুষের সঙ্গে। জীবনের কেনাবেচার হাটে যাকে শুধু খেলনা দিয়া ভুলানো যায়, তার সঙ্গে এত সাবধানতার সঙ্গে সুরু করিয়াছে সুখ দুঃখ হাসি কান্নার পণ্য নিয়া বুঝাপড়ার তর্ক। রাজকুমার একটা সিগারেট ধরাইল, কথা কহিল ধীরে ধীরে, অন্তরঙ্গ ভাবে, বন্ধুর মত। তোমাকে একটা কথা বলি শ্যামল। মালতীকে তুমি ভালবাস । তোমার এ ভালবাসা দু'দিনের নয় নিশ্চয় ? বিয়ে జ్ఞాశా তুমি মালতীকে ভালবেসে যাবে নিশ্চয় ? S() কিন্তু জানি। তুমি বলতে চাও, তোমার কথা আলাদা। মালতীর জীবনে এতটুকু দুঃখ আনার চেয়ে মরে যাওয়া তুমি ভাল মনে কর। কারণ, তুমি যে ভালোবাসে মালতীকে -টোকা দিয়া সিগারেটের ছাই ঝাড়িয়া ফেলিয়া গলার সুর বদলাইয়া-কিন্তু আমি ওকে ভালবাসি না, তাই আমার সম্বন্ধে তোমার দুর্ভাবনার সীমা নেই। তোমার মতে, ভালবাসাটা তোমার একচেটিয়া সম্পত্তি, এ জগতে আর কেউ ভালবাসতে পারে না, আর কারও ভালবাসার অধিকার নেই। অন্ততঃ আপনার নেই। শুনিয়া আহত বিস্ময়ে রাজকুমারের মুখে কথা ফুটিল না। শ্যামল একটু ইতস্ততঃ করিয়া আবার বলিল, আপনাকে আমি শ্ৰদ্ধা করতাম, সে শ্ৰদ্ধা বজায় থাকলে মালতীর সম্বন্ধে আমার এতটুকু ভাবনা হ’ত না। কিন্তু আপনি নিজেই আমার শ্ৰদ্ধা ভেঙ্গে দিয়েছেন। সেদিন সভায় তোমায় অপদস্থ করেছিলাম বলে ? না। গিরির সঙ্গে কুৎসিৎ ব্যবহার করেছিলেন বলে । তারপর শ্যামল চলিয়া যাওয়ার আগে আরও যে দু’চারটি কথা বলিল, রাজকুমারের কাণে গেল না । যেমন বসিয়াছিল। তেমনি ভাবে সে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। সেদিন অকথ্য গালাগালি দিয়াই তবে গিরীন্দ্ৰনন্দিনীয় জননী তাকে রেহাই দেয় নাই, প্ৰায়শ্চিত্তের জেরটা যাতে আরও টানিয়া চলিতে হয় তার ব্যবস্থাও করিয়াছে। গিরীন্দ্ৰনন্দিনীর সঙ্গে তার কুৎসিৎ ব্যবহারের সংবাদ আরও কত লোকে জানিয়াছে কে জানে । জীবনে এই প্ৰথম মিথ্যা দুৰ্ণামের সংস্পর্শে আসিয়া রাজকুমারের মন যেন দিশেহারা হইয়া গেল। কতবার ভাবিল যে, লোকে যা খুন্সী ভাবুক, তার কি আসিয়া যায়, সে তো কোন অন্যায় করে নাই। সে কেন জালাবোধ করিবে তার সম্বন্ধে কে কোথায় কি মিথ্যা ধারণা পোষণ করিতেছে ভাবিয়া ? কিন্তু জ্বালা সে বোধ করিতেই লাগিল। অন্যায় না করুক, সেদিন ভুল সে করিয়াছিল, বোকামি করিয়াছিল। ভুলের শাস্তি ও মানুষকে পাইতে হয় বৈকি। গরম চায়ে পৰ্য্যন্ত মুখ পুড়িয়া যায়। এ দুর্ণামের প্রতিবাদে তার কিছু বলিবার উপায় পৰ্য্যন্ত নাই। শ্যামলকে সমস্ত ব্যাপারটি খুলিয়া বলিলেও সে বুকিত । না, বিশ্বাসও করিত না। শ্যামলের মত অঙ্গ সকলেও বুঝিৰে না, বিশ্বাস করিবে না। নীরবে এ অপবাদ তাকে মানিয়া নিতে হইবে। এমনি যখন মানসিক অবস্থা রাজকুমারের, অবন্ধদ্ধ নিরূপায় ক্ৰোধের উত্তেজনায় ভিতরটা যখন তার ফেনার মত ফাটিয়া যাইতে চাহিতেছে আর সমস্ত জগতের উপর ভয়ঙ্কর একটা প্ৰতিশোধ নেওয়ার অন্ধ কামনা জাগিয়াছে, তখনকার মত জগতকে পাওয়া না গেলেও হাতের কাছে ষাকে পাওয়া ৰায়