পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख न नौ বেলা-হল উঠবে না ? শীতল পাশ ফিরিয়া শুইল। বিড়বিড় করিয়া সে যা বলিল তা গালাগালি । তখন শ্যামা বুঝিতে পারিল সে ভুল করিয়াছে। ছেলের জন্য স্বামীকে অবহেলা না করিবার প্রক্রিয়া এটা নয়। স্বামী যতটুকু চাহিবে দিতে হইবে ততটুকু, গায়ে পড়িয়া সোহাগ করিতে গেলে জুটিবে গালাগালি। মন্দার কোন পরিবর্তন নাই। সে তো এখনো জানে ना। cश्रणालव्र लदेवl cल दर ७ दिअड श्ना अश्लि। আড়চোখে তাহার সানন্দ চলাফেরা দেখিতে দেখিতে শ্যামার বড় মমতা হইতে লাগিল। সে মনে মনে বলিল, অ পোড়াকপালী ! বেশ হেসে খেলে সময় কাটােচ্ছ, ওদিকে তোমার যে সর্বনাশ হয়ে গেছে। যখন জানবে তুমি করবে DD JSiiBDD SDDDBD BTT DBB BBB DD gL কালু কঁদিতেছিল। দেখাদেখি কোলের ছেলেটিও কান্না জুড়িয়া'ছল। শ্যামা সাহায্য করিতে গেলে মন্দা তাহাকে হাঁটাইয়া দিল। তিনজনকে সে সামলাইল একা । HBDB D DD DBB DBBS S LD DB DB বলিল, কার ছেলেদের এত ভালবাসছ ঠাকুরবি ? সে তো তোমার মান রাখে নি । মন্দার সমস্যা শ্যামাকে বড় বিচলিত করিয়াছে ৷ রাখালের প্ৰতি সে যেন ক্ৰমে ক্রমে বিদ্বেষ বোধ করিতে আরম্ভ করে । সংসারে স্ত্রীলোকের অসহায় অবস্থা বুঝিতে পারিয়া নিজের কাছে সে অপদস্থ হইয়া যায়। যে আশ্রয় তাহদের সবচেয়ে স্থায়ী কত সহজে তাহা নষ্ট হইয়া যায়। যে লোকটির উপর সব দিক দিয়া নির্ভর করতে হয়, কত সহজে সে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া বসে ? মন্দা অবশ্যই এবার অনেক দিন। এখানে থাকিবে। এ আরেক সমস্যার কথা। আর্থিক অবস্থা তাহদের স্বচ্ছল নয়, নুতন চাকরীতে শীতল নিয়মিত মাহিনা পায় বটে, টাকার অঙ্কটা কিন্তু ছোট । শীতলের কিছু ধারা আছে, মাঝে মাঝে কিছু কিছু শুধিতে হয়, সুন্দও দিতে হয়। খরচ চলতে চায় না। তিনটি ছেলে লইয়া মন্দা বেশ দিন। এখানে থাকিলে বড়ই তাহারা অসুবিধায় পড়িবে। শুষ্ঠামা অবশ্য এসব অসুবিধার কথা ভাবতে বসিত না, অত ছোট মন তাহার নয়,-যদি তাহার খোকাটি না আসিত । মন্দার জন্য তাহারা স্বামী-স্ত্রী না-হয় কিছুদিন কষ্টই ভোগ করিল, কারো খাতিরে খোকাকে তো তাহারা কষ্ট দিতে পরিবে না । ওর যে ভাল জামাটি জুটিবে না, দুধ কম পড়িবে, অসুখে বিসুখে উপযুক্ত চিকিৎসা হইবে না, শ্যামা তাহা সহিবে কি করিয়া ? নিজের ছেলের কাছে নাকি ননদ ও তাহার ছেলেমেয়ে। যতদিন সম্ভব, ঠিক ততদিনই মন্দাকে সে এখানে থাকিতে দিবে। তারপর মুখ ফুটিয়া বলিবে, আমাদের খরচ চলছে না ঠাকুরবি। বলিবে, অভিমান চলবে কেন SO ভাই ? মেয়েমানুষের এমনি কপাল। যাও ঠাকুরজামায়ের কাছে। হিসাবে শুঙ্গামার একটু ভুল হইয়াছিল। কয়েকদিন পরে রাখালের পত্র আসিবামাত্র বনগা যাওয়ার জন্য মন্দা উতলা হইয়া উঠিল। সে কোনমতেই বিশ্বাস করিতে চাহিল না, রাখাল আবার বিবাহ করিয়াছে। বারবার সে বলিতে লাগিল, সব মিছে কথা । সে বনগা যায় নাই বলিয়া রাগিয়া য়াখাল এরকম চিঠি লিখিয়াছে। একথা কখনো সত্যি হয় ? তবু এরকম অবস্থায় তাহার অবিলম্বে বনগাঁ যাওয়া দরকার। আমায় আজকেই রেখে এসে। দাদা, *ांgभ ट्रि Cठभां । এদিকে, সেদিন আরেক মুস্কিল হইয়াছে। রাত্রে শ্যামার ছেলের হইয়াছিল জ্বর, সকালে থার্মোমিটার দিয়া দেখা গিয়াছে জর একশ দুইএর একটু নিচে । ছেলে কোলে করিয়া শেষ রাত্ৰি হইতে শ্যামা ঠায় বসিয়া কাটাইয়াছে। ভাবিয়া ভাবিয়া সে বাহির করিয়াছে যে, বারোকে চার দিয়া গুণ করিলে যত হয়, ছেলের বয়স এখন তাহার ঠিক ততদিন । আগের খোকাটি তাহার ঠিক বারোদিন বাচিয়াছিল। বনগাঁ অনেক দূর, শীতলকে শ্যামা ছাপাখানায় পৰ্য্যন্ত যাইতে দিতে রাজি নয় । শীতল বলিল, দুদিন পরেই যাস মন্দা। চিঠিপত্র লেখা হোক, একটা খবর দিয়ে যাওয়াও তো দরকার। খোকার জরটাও ইতিমধ্যে হয়ত কমবে। মন্দা শুনিল না। বাড়িটা হঠাৎ তাহার কাছে জেলখানা হইয়া উঠিয়াছে। সে মিনতি করিয়া বলিতে লাগিল, আজ না পাের, কাল আমাকে তুমি রেখে এসে দাদা। সকালে রওনা হলে বিকেলের গাড়িতে ফিরে আসতে পারবে তুমি। শীতল বলিল, ব্যস্ত হোস কেন মন্দা, দেখাই যাক না কাল সকাল পর্যন্ত, খোকার জ্বর আজকের দিনের মধ্যে কমে যেতেও পারে তো । বিকালে খোকার জ্বর কমিল, শেষরাত্রে আবার বাড়িয়া গেল । সকালে মন্দা বলিল, আমার তবে কি উপায় হবে বেী ? আমি তো থাকতে পারি না। আর । দাদা যদি নাই যেতে পারে, আমায় গাড়িতে তুলে দিক, ওদের নিয়ে আমি একাই যেতে পারব ৷ শ্যামা রাত্রে ভাবিয়া দেখিয়াছিল, মন্দাকে আটকাইয়া রাখা সঙ্গত নয়। উদ্বেগে ও আশঙ্কায় সে এখন বনগা যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হইয়াছে, পরে হয়ত মত পরিবর্তন করিয়া বসিবে, আর যাইতেই চাইবে না। বলিবে, অমন স্বামীর মুখ দেখার চেয়ে ভাইএর বাড়ি পড়িয়া থাকাও ভাল। বোনকে পুষিবার ক্ষমতা ষে শীতলের নাই, এতো আর সে হিসাব করিবে না। তার চেয়ে ও যখন যাইতে চায়, ওকে যাইতে দেওয়াই ভাল। একদিনে তাহার খোকার কি হুইবে ? শীতল তো ফিরিয়া আসিবে রাত্রেই। এবার তুমি ফিরে