পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t মানিক গ্ৰন্থাবলী তারা যেন কোথায় উধাও হয়েছে। উধাও কি হয়েছে ? না রোগাপটকা বনে? গায়েই আছে তাই ওই বন্ননা খাটে না ? বাড়ীর মেয়েদের নিয়ে গেছে কালীঘাটে, সেখানে দেখা চরণ দাসের नोंgथ । একথা সেকথার পর আপসোস করে বলে, “ইকি ব্যাপার আঁ ? কমবয়সী। নয়, মাঝ বয়সী নাদুস-নুদুস মেয়ে একটা গায়ে নেই ? বাবুর ফরমাস ছিল।” চরণ বললে, “হালে এয়েছে গায়ের মেয়েদের সাথে একটা । যোয়ান মেয়ালোক। চেনা লোকের জানা বাবুর বাড়ি খুজিছে—” “আমার বাবু রাখবে।” “তোমার সেথায়? ও খুজিছে কলকাতায় ।” 'अक्षाG, श िशाश।” অনেক কথা, অনেক দ্বিধা, অনেক ধাঁধার পর চিন্তামণি রাজী হল । শেষ মুহুর্তে চরণ বললে পটলকে, “একটা কথা বলি। দায়ী করবে। শেষে ? স্বভাব তেমন ভাল নয় শুনি চিন্তামণির ৷” পটলের যেন তা জানতে বাকী ছিল । নয়তো এই বাজারে এত বহর মিহি কোড থানকে ফেরত দিয়ে পরে আর কপাল-ঢাকা ঘোমটা টেনে চাবির গোছায় ভারি রিং আঁচলে বেঁধে পিঠে বোলায়, যার স্বভাব ভাল ? নানা বর্ণের নানা ধাচের সেলানো পাড়ের ঢাকনা তার তেরঙ্গের, শোয়ার কঁথা তোষক-সমান পুরু ! ওসব জানে পটল, ওতে যায় আসে না কিছু, ধোপা নাপিত কামার কুমার যারা, সমাজ তাদের এমনি মেয়ের কেলেঙ্কারি সয়, যদি সেটা সত্যমিথ্যা গুজব ছাড়া আর কিছু না হয় । রাত্রিগুলি অন্ধকার। পাপ যে করে চুপচাপে তার বিচারের ভার সেই বিচারকর্তার যার সৃষ্টি সেই অন্ধকার। হাওয়ায় ভাসা কথার বেলা সমাজ তাই কাণা। পিছে যদি কেউ লাগে আর হাতে নাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে, হা দ্যাখো, তখন সমাজ দণ্ড দিয়ে বলে যে আজ থেকে তুমি পতিত হলে, প্ৰচিত্তির করে যদি ভোজ দেও সমাজকে তবেই উঠতে পারো সমাজে, নইলে নয়। চিন্তামণিকে সে পৌছে দিল বাবুর বাড়ী।। তার বাবুর নাম নীলকণ্ঠ ঘোষাল, দুপুরুষে হরেনাম রাইস মিলের মালিক। পরদিন বাবু বললে, “অ পিটােল, এ করছি কি ? ওনা যে বলছে দূর ! দূর । খেদিয়ে দাও-বিদেয় কর আজকেই ? ওনার চেয়ে সাফসুরুৎ এ বি, চাল চলন