পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रिश् S OS করে। মনে ভাব জাগায় অসাবধানে রাস্তা পার হতে গিয়ে সে মরত গাড়ি 5에 | বারের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় অক্ষয়। সময় অল্পই আছে, দু’চারজন করে বেরিয়ে আসছে লোক । বাড়ি ফেরার অসুবিধার জন্য লোক আজ কম হয়েছে বোঝা যায়। অন্যদিন এ সময় আরও ভিড করে লোক বেরিয়ে আসে । যাবে ভেতরে ? করে ফেলবে এদিক বা ওদিক একটা নিম্পত্তি ? এ উত্তেজনা সত্যি আর সওয়া যায় না। বুকের মধ্যে শিরায় টান পড়ে পড়ে ব্যথা করছে বুকটা । অথবা এমন হঠাৎ একটা কিছু করে না ফেলে আরও কিছুক্ষণ সময় নেবে মন স্থির করতে ? হোটেল তো আছে। কম হলেও পাবে তো সেখানে মাদ । এমন হুটু করে নাই বা করে বসল একটা কাজ পরে হাজার আপসোস করলেও যার প্ৰতিকার হবে না ? এই চরম মূহুর্তে বড় বড় কথা আর ভাবে না। অক্ষয়। দ্বিধার উত্তেজনা চরমে উঠে মনকে তার ভাব-কল্পনার ব্রাজ্য থেকে স্থানচ্যুত করে বাস্তবে নামিয়ে দিয়েছে। সে ভাবে, আজ ভেতরে গিয়ে মদ খেলে শুধু সুধার কাছে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা হবে না, অত্যন্ত অন্যায়ও করা হবে সুধার ওপর। অন্য দিনের চেয়ে শতগুণে বেশী আঘাত লাগবে আজ সুধার মনে। অন্যদিন জানাই থাকত সুধার যে বাড়ি সে ফিরবে মদ খেয়েই, নতুন করে হতাশ হবার আশা করবার কিছু তার থাকত না। আজ সে আপিসে বার হবার সময়েও প্রতিজ্ঞার পুনরাবৃত্তি করেছে। সুধাকে বুকে নিয়ে আদর করতে করতে। সুধার কথা ভেবে মনটা কেমন করতে থাকে অক্ষয়ের । সেই সঙ্গে সে অনুভব করে, ভেতরে গিয়ে এখন মদের গ্লাস হাতে নিলে তার সবটুকু শুচিতা, সবটুকু পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাবে। সারাদিন রাজপথের ও দৃশ্য দেখার পর মদ খেলে বড়ই নোংরামি করা হবে সেটা । তখন রাখাল বেরিয়ে আসে। টলতে টলতে । ‘আহা, বেশ বেশ’, রাখাল বলে অক্ষয়ের কাধে হাত রেখে গলা জড়িয়ে ধরে, 'কোথা ছিলে চাঁদ এতক্ষণ ? "আঃ, রাস্তায় কি এসব ? - অক্ষয় হাতটা তার ছাড়িয়ে দেয়। ‘বটে’? চােখ বুঝি সাদা ? বেশ বেশ। আমার বাবা চলছে সেই তিনটি থেকে', চোখ বুজে নিশ্বাস ফেলে রাখাল আবার চোখ মেলে তাকায়, “হা, কথা