পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o R. शांनिक jहांबळेौ আছে তোমার সঙ্গে। ভারি দরকারি কথা । সেই থেকে হাপিত্যেশ করে বসে আছি কখন আসে আমাদের অক্ষয়বাবু। চীনা ওটাতেই যাবে তো ? চলে। যাই । বসে বলব ।” “আমার টাকা নেই।” ‘টাকা ? টাকার জন্য ভাবিছ ? কত টাকা চাও ?? রাখাল সত্য-সত্যই পকেট থেকে এক তাড়া নোট বার করে গুণতে আরম্ভ করে। দু’তিন বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সমস্ত তাড়াটাই অক্ষয়ের হাতে তুলে দেয় । “নাও বাবা, তুমিই গোণ। তোমার ভাগ তুমি নাও, আমার ভাগ আমায় দাও । ঠাকিও না। কিন্তু বাবা বলে রাখছি।” “কিসের টাকা ? “আঁ্য ? ও হ্যা, বলিনি বটে। বললাম না যে তোমার সঙ্গে কথা আছে ? চৌধুরী কমিশনের টাকা দিয়েছে--গিয়ে চাইতেই একদম ক্যাশ। বড় ভাল লোক । টাকার জন্য ভাবছিলে ? নাও টাকা । দাড়িয়ে কেন বাবা ? চলো না এগোই । ওখানে গিয়ে ভাগ হবে’খন ।” সাদা চোখে কোনদিন রঙীন অবস্থায় রাখালকে দেখেনি অক্ষয় । দুজনে হয়তো মিলেছে সাদা চোখেই, তার পর যত চাপিয়ে গেছে সমান তালে। মদ খেলে রাখাল যে এরকম হয়ে যায়, একসঙ্গে এতদিন মদ খেয়েও অক্ষয়ের তা জানা ছিল না । এর চেয়েও খারাপ অবস্থায় কত দিন রাখালকে সে ধরে সামলে ট্যাক্সিতে তুলে বাড়ি পৌছে দিয়েছে বটে, কিন্তু তখন সে নিজেও হয়ে যেত। অন্য মানুষ । এই রকম হত কি সে ? এখনকার এই রাখালের মতো ? ‘কাল আমার ভাগ দিও।” নোটের তাড়াটা নিয়ে পাঞ্জাবি উচু করে ভেতরের উলের জামাটার পকেটে রেখে রাখাল হাসে, “কাহিল অবস্থা বুঝি ? কোথায় টানলে আমায় ফাকি দিয়ে, এ্যাদিনের পেয়ার আমি ? আর এক মুহূর্ত এ লোকটার সঙ্গে থাকলে সে সোজাসুজি হার্ট ফেল করে মরে যাবে, এই রকম একটা যন্ত্রণা হওয়ায় অক্ষয় মুখ ফিরিয়ে হঁটিতে আরম্ভ করে জোরে জোমে ৷ তেরাস্তার মোড়টা পেরিয়ে আপিসের পথ ধরে চলতে চলতে তালা লাগানো গোটটার সামনে থামে। ওরা কি করছে একবার দেখতে হবে । দেখতে যদি হয়, তেতালার ব্যালকনীতে উঠে একটা অংশকে মাত্র দেখবে