পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ove शांनिक यंहांदणी “তোমার ? তোমার বোঝা উচিত ছিল দশ বছর যে, সুযোগ খুজিছ এ্যাদিনে তা এসেছে। বড়রা কেউ হাজির নেই গুলিগোলার ভয়ে, তুমি যা বলবে তুমি যা করবে। কেউ তা ভেস্তে দিতে পারবে না । বাণী যখন ওরা মানল না, তোমার উচিত ছিল ঘোষণা করা যে তুমি ওদেরি পক্ষে। জোর গলায় বলা উচিত ছিল, দশ বছর পনের বছর দেশের সেবা করছ, জেল খাটছ, কিন্তু আদর্শের চেয়ে বড় কিছু নেই তোমার। তাই, তুমি দায়িত্ব নিচ্ছ মিটমাটের, ব্যবস্থা করার, এজন্য যদি প্ৰাণ বিসর্জন দিতে হয় তোমাকে-” “কিসের মিটমাট ? অমৃত বলে আশ্চর্য হয়ে । ‘তা দিয়ে তোমার কি দরকার ? তুমি দায়িত্ব নিতে মিটমাটর-মিটমাট হোক বা না হোক তোমার কি এসে যায় ? এদের সঙ্গে কথা বলতে, অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে, এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে, বাস, তোমার কাজ হয়ে গেল। দুদিন পরে দেশের লোকের মনের গতি বুঝে অবস্থা বিবেচনা করে তুমি জোর গলায় বলতে, তুমিই বিপদ ঠেকিয়েছ, তুমিই আন্দোলনটা সফল করেছ, তুমিই চেষ্টা করেছি। দাবি আদায়ের ।” একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে চুপ করে থাকে অমৃত । আগেও অনেকবার তার মনে হয়েছে, আজও মনে হয়, অরুণাকে সামনা-সামনি পলিটিক্সে নামিয়ে সে যদি পিছনে থাকত, এতদিনে হয় তো প্ৰবল প্ৰতিপত্তি আয়ত্ত করা যেত। রাজনীতির ক্ষেত্রে। নিজে দেশনেতা না হতে পারলেও অন্তত দেশনেত্রীর স্বামী হওয়া যেত । “এখনো সময় আছে।” 龄 অরুণার মৃদু, সংক্ষিপ্ত, সুদৃঢ় ঘোষণায় হৃৎকম্প হয় অমৃতের ! “এখুনি তুমি যাও আবার, অরুণা বলে উৎসাহের সঙ্গে, ‘পাণ্ডারা শুয়ে শুয়ে ঘুমোক । গিয়ে পুলিসকে বলবে তুমি মিটমাট করতে এসেছ, সবাইকে বাড়ী ফিরে যাবার আবেদন জানাবে। তাহলে বলবার সুযোগ পাবে। কিন্তু খবৰ্দার, বলতে উঠে যেন ওদের শান্ত ভাবে বাড়ি ফিরে যেতে বলে না। ওদের বীরত্বের প্রশংসা করে, ওরাই যে দেশের ভবিষ্যৎ, এ সব কথা বলে আরম্ভ করবে। তারপর খুব ফলাও করে বলবে ওদের দাবি যাতে মেনে নেওয়া হয়। সেজন্য তুমি কত ছুটোছুটি করেছ। বলবে, ভাই সব, তোমাদের সঙ্গে দাড়িয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দেবার গৌরব আমার জুটুল না, কারণ বিদেশী সরকারের গুলি যাতে আমার দেশের ভাইদের বুকে না লাগতে পারে, সেই চেষ্টা করাই বড় মনে হয়েছিল আমার । তোমাদেরি বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমি। গুলি যখন চলেছে, তোমাদের