পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিহ্ন Y RG) জীবনে তার আর পরিবর্তন হয় না। সজ্ঞান সাধনায় পরবর্তী জীবনে চিন্তা ও অনুভূতির জগতে নূতন ধারা আনা যায় আপোসহীন অবিশ্রাম কঠোর সংগ্রামের দ্বারা । নিজের সঙ্গে লড়াই করার মতো কষ্টকর, কঠিন ব্যাপার। আর কি আছে জীবনে। বুদ্ধি দিয়ে যদি বা আদর্শ বেছে নেওয়া গেল, কর্তব্য ঠিক করা গেল, সে আদর্শ অনুসরণ করা, সে কর্তব্য পালন করা যেন কাকমারি হয়ে দাড়ায় যদি তা বিরুদ্ধে যায় প্রকৃতির। ইন্টেলেকচুয়ালিজমের ব্যর্থতার কারণও, তাই। বুদ্ধির আবিষ্কার, বুদ্ধির সিদ্ধান্ত কাজে লাগানোর চেয়ে অন্ধ অকেজো ভাল-লাগা ও পছন্দকে মেনে চলা অনেক সহজ, অনেক মনোরম। বুদ্ধি-জীবীদের মধ্যে তাই অধঃপতন এত বেশী । এত বেশী হতাশা । কথার এত মার-প্যাচ । এত ফাকিবাজী । বিশ্বাসের এমন নিদারুণ অভাব ! সীতা বলে, “মাসীমা ছেলে আপনার কচি খোকা নেই।” “আমার কথাটা তুমি বুঝলে না। সীতা । আমার ভয় হচ্ছে, ও তো হাঙ্গামায় জডিয়ে পড়েনি ? কিছু হয়নি তো ওর ? সীতা এবার না হেসে পারে না, যদিও সে হাসিতে দুঃখ ও জ্বালাই প্ৰকাশ পায় বেশী : “হেমন্ত কোন হাঙ্গামার ধারে কাছে যাবে। ” “এটা তুমি কি কথা বললে ?” অনুরূপ বলেন আহত মাতৃগর্বের অভিমানে, 'ছ'মাস এক বছর আগে বললে নয় কোন মানে হত। হেমা যে কি ভাবে বদলে যাচ্ছে তুমিও তা লক্ষ্য করনি বলতে চাও মা ? আমার তো বিশ্বাস হয় না। ও-কথা! ওর মধ্যে অদ্ভুত একটা অস্থিরতা এসেছে কিছু দিন থেকে। আমি জানি সেটা কিসের অস্থিরতা, ওর কি হয়েছে। তুমিও দায়ী এর জন্য।” “আমি ? ‘তুমি। তুমি দায়ী। তুমি কি বলতে চাও, তুমি টেরও পাওনি হেমা কি el6द छBयाप्ने कब्रCछ, दाCन् श्igष्छ ?' অনুরূপার অনুযোগে সত্যই খটকা লাগে সীতার মনে, মনে পড়ে আজ সে হেমন্তকে সভায় দেখেছিল । হয়তো নিছক খেয়ালের বশে সভায় যায়নি হেমন্ত । হয়তো নতুন চেতনা, নতুন অনুভূতির তাগিদেই সভায় যেতে হয়েছিল তাকে, নবজাগ্ৰত প্রশ্ন ও সংশয়গুলির নিতুল বাস্তব জবাব খুঁজে পাবার কামনায়। আত্মপ্রীতির জেলখানার প্রাচীরে হয়তো সত্যই চিড় খেয়েছে হেমন্তের। দু’দণ্ড দাড়িয়ে থেকেই সে যে চলে গিয়েছিল সভা ছেড়ে বিরক্ত হয়ে তাও তো জানা নেই সীতার। শেষ পর্যন্ত চলে হয়তো যেতে পারেনি, শোভাযাত্রায়ও হয়তো যোগ ननि-( 9 )-->