পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

St. शांनेिक &jष्ट्रांदळेौ মুহূর্তের জন্য তার মনে হয়, আসলে চন্দ্ৰই চালাচ্ছে তার সমস্ত কারবার নিজে আড়ালে থেকে তাকে সামনে খাড়া করে রেখে, চন্দ্র তার চেয়ে ঢের বেশী বুদ্ধিমান। আয়ের মোটা ভাগটাই তার বটে, কিন্তু সেটাও এক হিসাবে চন্দ্রের বুদ্ধিরই পরিচয় । তার যেমন আয় বেশী তেমনি সমস্ত দায়িত্ব তার ঘাড়ে, সমস্ত বিপদ তার নিজেকে সব দিক দিয়ে বঁচিয়ে রেখে চন্দ্ৰ তো কম রোজগার করছে না। যুদ্ধের আগে তার ও চন্দ্রের অবস্থা যা ছিল তার সঙ্গে তুলনা করে হিসাবে ধরলে তার চেয়ে চন্দ্রের সাফল্য আর উন্নতি কি শতগুণ বেশী হবে না ? তার মতো একজনকে অবলম্বন না করে চন্দ্রের পক্ষে এত বড় স্কেলে কারবার চালানো সম্ভবও ছিল না । সন্ত্রান্ত ঘরের শিক্ষিত ফ্যাশন-কায়দা-দুরস্ত মোটামুটি অবস্থাপন্ন বড় বড় লোকের সঙ্গে অন্তত পক্ষে মৌখিক পরিচয়যুক্ত তার মতো একজনকে না পেলে এত কাণ্ড করতে পারত না চন্দ্ৰ। তার মোটা প্ৰতিপত্তি তার মোটা দায়িত্ব, -- তাকে মোটা আয় দিয়ে নিজের স্বপ্ন সফল করতে আপত্তি হবে কেন চন্দ্রের 1 তার স্বপ্ন সফল হয়নি। অনেক সে পেয়েছে কিন্তু দু’হাতে দিতেও হয়েছে অনেক । চন্দ্ৰ যে এত টাকা মারছে, তার দশহাজার উপার্জন হলে চন্দ্রের যেখানে দশ টাকা হওয়া উচিত সেখানে সে যে হাজার টাকা গাপ করছে, চোখ কান বুজে তার সেটা সহ করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। চন্দ্ৰকে ছাড়া তার চলবে না, চন্দ্ৰই যেন সব চালাচ্ছে । এ জালা আগেও দাশগুপ্ত মাঝে মাঝে অনুভব করেছে, তবে এমন তীব্রভাবে নয়। জীবনের একমাত্র বাহাদুরীর ফানুস কয়েক মুহুর্তের জন্য ফেসে যাওয়া কয়েক মুহুর্তের আত্মহত্যার চেয়ে কম যাতনাদায়ক নয়। তারপর অবশ্য সামলে নেয় দাশগুপ্ত, পুরোপুরি। সস্তা মানুষ ফু দিলেই ফাপে। কত আর করেছে চন্দ্ৰ ? বিশ-পাঁচিশ হাজার ? তাই নিয়ে তার ক্ষোভ । এ যেন নায়েব-গোমস্ত দারোগার দুটো পয়সা হয়েছে দেখে রাজার হিংসা করা। ‘<ti<-- * “দাড়াও দাড়াও—।” দাশগুপ্ত বলে সেনাপতির মতো, ওসব ভেবেছি। তোমার কথায় আর একটা কথা মনে পড়ল। কি জান, গণেশকে আমি আইডেনটিফাই করতে চাই না, যদি না করে চলে। এখন মনে পড়ল। হাসপাতালে হট্টগোল চলছে, সুযোগ বুঝে মালটা সরিয়ে আনা চলতে পারে। যদি ফ্যাকড়া বাধে, পিটারের চিঠি দেখালেই হবে। বললেই হবে ফ্রটস আছে, খারাপ হয়ে যাবে বলে সরিয়ে নিচ্ছি। তখন গণেশকে আইডেনটিফাই করব। ফ্যাকড়া কিছু হবে না মনে