পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিহ্ন Sc. বোকামি করে, লাঠি। আর বন্দুক দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করে এই রাগ-দুঃখের প্রকাশ, কি হবে তা হলে ? আমিনা নিজেই দরজা খুলে দেয়। তার রাতিজাগা চোখ দেখেই ওসমান শঙ্কিত কণ্ঠে বলে, ‘রসুল-? “সে তো হাসপাতালে ফিরে গেছে ? আসুন বহুন ওসমানকে মোড়া দিয়ে আমিনা নিজে রসুল যে টুলে বসে কেরাসিন কাঠের টেবিলে পড়া-শোনা করে সেটাতে বসেন। মোড়ার পাড়ের সুতোয় কাজ-করা কাপড়ের ঢাকনিটি ভারি সুন্দর। “ফিরে গেল কেন ? আমিনার মুখে রসুলের বাড়ি আসা ও হাসপাতালে ফিরে যাবার বিবরণ ও কারণ শুনে ওসমান খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকে । ‘অনেক খুন বেরিয়ে গেছে!” “সেটাই ভাবনা এখন ।’ আমিনা ধীরে ধীরে বলেন । ওসমান বলে, “খুন না কি জমা থাকে বোতলে, গায়ে ঢুকিয়ে দেয় ? ‘তাই দিত। ওকে, ও নিতে চায়নি শুনলাম। বোতলের খুন কম ছিল, অনেকের দরকার ছিল জরুরী, তাইতে ।”

  • আচমকা স্পষ্টতর প্রবলতর হয়ে রাসুলকে জামাই করার সাধটা আছড়ে পড়ে ওসমানের মনে ৷ - “হাসপাতালে যাই একবার, দেখে আসি ওকে ৷”

এখন ওসব কথা তোলার সময় নয়, আমিনা শুনে হয়তো কি ভাববেন, এ সব জেনেও ওসমান হৃদয়ের তাগিদটা রুখতে পারে না, বলে, “এক আরজ আছে আপনার কাছে, জানিয়ে রাখি। মেয়েটা বড় হয়ে গেছে, পরীবাণু। ওকে তো দেখেছেন। আপনি ? “কতবার দেখেছি।” পরীবাণুর কথা কোথা আসে ভেবে আমিন আশ্চর্য হয়ে যান। ‘ওর জন্য ছেলে খুজিছি। তা আমার আরজ রইল আপনার কাছে, রসুল ফিরলে আমার মেয়েকে আপনার নিতে হবে। আমি মজুৱা বটে, লৱী হাকাই, আমার মেয়ে নিলে ঠিকবেন না ।” “এ তো খুলীর কথা !” আমিনা বলেন আন্তরিকতার সঙ্গে, “তবে কি জানেন, রসুলের মত থাকা চাই ।”