পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fSigis SV3 মোটা মোটা শীষের গোছ এদিক ওদিক দুলছে। দেখলে চোখ জুড়িযে যায়। কিন্তু মন কেঁপে কেঁপে ওঠে। আতঙ্ক জড়িত ক্লেশের মত একটা অনুভূতির খোচায় সর্বদা মনে হয়, এ ফসলে কারো পেট ভরবে না। এ শুধু ফসল, অন্ন নয়। দাদ চুলকানোর আরাম ভুলে চাষীরা মাথা চুলকায়। ভাববার ও বুঝবার চেষ্টা করে যে এ সব কি ব্যাপার। ধারণা করার ক্ষমতা দিয়ে কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না, শুধু গত দিনগুলির অভিজ্ঞতা তাদের ব্যাকুলতা এনে দেয়, অনির্দিষ্ট ভয়ের সাড়া জাগায়। কি একটা প্যাচে যেন তারা পড়েছে, কি যেন মুস্কিল ঘটবে তাদের, বিপদ আসবে। অভাবের জীবনে অভাব বাড়ে কমে, দুর্ভোগ চড়ে নামে, ওসব খাপছাড়া কিছু নয়। এবার সব উল্টোপাল্টা, গোলমেলে, অদ্ভুত J°द् ঘটছে। হাতের মুঠোয় এসে লাভ দাড়িয়ে যাচ্ছে লোকসানে। ভাল ফসল ঘরে তুলে বেড়ে যাচ্ছে খিদের যাতনা ভোগ। জমিদার মহাজন উকিল ডাক্তার দোকানী পশারী আত্মীয় পরিজন বন্ধু ও পর নিয়ে যত মানুষের সঙ্গে ছিল তাদের কারবার, কটা মাসে যেন কেমন হয়ে গেছে তারা সকলে, কথা ও ব্যবহার যেন বদলে গেছে। আগাগোডা, লেনদেনের স্বাভাবিক হৃদয়হীনতা যেন দাড়িয়ে গেছে উলঙ্গ কুৎসিৎ নিষ্ঠুরতায়, লোভের যে অত্যাচার ছিল শুধু আদায়ের জন্য – আদায়ের পরে যেন তা বজায় থাকছে আরো তীব্র ব্যক্তিগত বিদ্বেষ হয়ে । কে জানে এসব কিসের সূচনা, কি আছে তাদের ভাগ্যে । বৈল চিন্তামণি, তোমার যে পত্ৰখানা দিয়াছ ইহাতে পরম সুখী হইয়াছি। আদেষ্টে সুখ নাই আমি কেমন করিয়া সুখ পাইব । কে দিবে যে আমার মন্দ আদেষ্টে আমি কেমন করিয়া সুখ পাইব । আমার জমিটুকু ৬/ওনার বড় ভাই জোর কষ্টিয়া গাৱ দাপটে ভোগ দখল করেন তুমি জানিবা এবং কতকাল আমার বলিবার কিছু মুখ নাই কারণ গুরুজন বেটাছেলা তাহার অমান্য করিলে লোকে থুথু দিবে। বিন্দীপাড়ার বিপিনকে দিয়া এবার বলাইলাম যে এই দুদিনে আমার ভাগ দিবেন। আমি এতকাল চাই নাই এখন ভাগ না পাইলে আমি কেমন করিয়া বঁচিব । পেটের খুধায় তুমি মধুবাণী গিয়াছ বলিয়া আমার অন্তরে কত দুক্ষ জানিয়া গ্ৰাহা করিল না । সাফ জবাব দিল। এমন পাষাণ । আমি কত সাধাসাধি করিলাম দাদা গিয়া কিছু বলিল না । ১ মাস যাবত আমাশায় ভুগিব।ার কালে কত সেবা করিয়াছি, গু, মৃত ঘাটিতে ঘিন্না করি নাই। বর্তমানে অসুখ সারিয়া আমাকে জিজ্ঞাসাও