পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*)8 মানিক গ্রন্থাবলী করে না । বৌ আংটি চাহিয়াছিল। আমি দিই নাই তৎকারণে শত্তর হইয়া আছে তুমি জানিবা, বেীর পরামর্শ দাদাকে বিরাগ করিয়াছে। আংটি বাধা দিয়া টাকা লইয়াছি আমি কেমন করিয়া আংটি দিব। বেীর কথার মার পেটের বৈনকে ভাসাইয়া দিল। দাদা বলিল না। আমি কি করিব, বিন্দীপাড়ার বিপিনকে দিয়া ৬/ওনার বড় ভাইকে বলাইলাম। বিপিনের ভাইর সঙ্গে হেমীকে জোৱ করিয়া বিবাহ দিয়াছে। ডাকাতের হাতে মেয়ের বিবাহ দিয়া কি অশান্তিতে আছি আমারই অন্তরে জানে। দাদা বলিল না। আমি কি করিব। বিপিনকে বলিলাম। সে গিয়া বলিল । আমি মেয়ালোক কেমন করিয়া বলিব । জামাই হেমীকে লইয়া কাকীর বাড়ীতে চাপাবালাকে প্ৰণাম করিতে গিয়াছিল। মাত্র ২দিন ছিল । কাকী পত্ৰ লিখিয়াছে জামাই শাশুডিকে প্ৰণামি ১ খান কাপড় দিয়াছে তাহা গামছপর মত । সোনার গহনা ইত্যাদি চাহিদা অনেক গোলমাল করিয়া হেমীকে ফেলিয়া চলিয়া গিয়াছে। জোর করিয়া বিবাহ দিয়া চাপাবালার শ্বশুর এইরূপ কাব্য করিল। কাকী চাপাবালা আর হেমীকে রাখিতে পরিবে না বলিয়াছে। শ্বশুড়ের কাছে টাকা চাহিতে গিয়া পায় নাই, দূর করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছে এমন শ্বশুড দেখি নাই। গোসাই ঠাকুর বলিতেছেন। আর কুলাইবে না। অধিক আর কি লিখিব । আমি ডায়মণ্ডহারবার যাইব না, কেমন করিয়া যাইব । নবিন ধানের কাজ করিয়া টাকা পায় নাই। নূনা জলে ধানের সর্বনাশ হইয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা পত্ৰ লিখিবো। আমার যাওয়া চলে না । তুমি পেটের খুধায়। ‘हि'ि দুই রঘুর অবস্থা এদের মধ্যে একটু ভাল। বছরের বারোটা মাসেরই খোরাক তার জোটে, ছেলেপুলে আর বুড়ো বাপ একটু দুধ পায়, ঘরের চালা ঝাঝরা হয়ে জল পডে না, মাঝে মাঝে সকলে নতুন কাপড় পরে, মেয়েরা চুলে তেল দেয়। রঘুর দুটি বেী, বিরজা এবং দুর্গ। বিরজা বড় বেী, দশ এগার বছর স্বামীর ঘর করছে। দুৰ্গা এসেছে তার বছর চারেক পরে। বয়সে বিরজা তার সতীনের চেয়ে বড় হবে কি না সন্দেহ, হয় তো বা ছোটই হবে দু'এক বছরের। তবে কি না চাষী গোরস্ত ঘরে অত বছর গুণে বয়সের হিসেব রাখার গরজ কারো নেই,