পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आंब्रज्ञ हेड्शिन RRA । মুখের দিকে চাহিয়া আছে খেয়াল করিয়া, জোরে সে নীচের ঠোঁট কামড়াইয়া ধরিল । মণীশ তখন বলিল, “যা ।” কুন্তলা বলিল, “চলুন যাই।” द्धिक्षेत्र दलिल, ‘द्रिकुना उांकि ?' ‘রিকসা কি হবে ? “কাপড় বদলে এস তবে । আমি বসছি।” ‘কাপড় বদলাতে হবে না। চলুন।” মণীশ বাহিরে যাইতেছে, সে যদি তাদের সঙ্গ নেয় ? মণীশ চলিয়া যাওয়ার খানিক পরে তাদের বাহির হওয়া দরকার । “একগ্লাস জল দেবে কুন্তী ? ‘দিই।” কুন্তলা জল আনিতে গেল । “মনিদা, আমি একটু বিশ্রাম করে-” মুখ ফিরাইয়া ক্রিষ্টপ দেখিল- মণীশ কখন বাহির হইয়া গিয়াছে, সে টেরও श्रांश नाझे । শিশিরদের বাড়ীর সদর দরজায় ক্রিষ্টপ তালা দিয়া যায় নাই, দরজা খোলাই ছিল। কুন্তলা ভিতরে গেলে ক্রিষ্টপ দরজা বন্ধ করিল। কুন্তলা একথা সেকথা বলিতেছিল, তার যেন মুখ খুলিয়া গিয়াছে। সংক্ষেপে সায় দিতে গিয়াও ত্ৰিষ্টপের গলায় আটকাইয়া যাইতেছিল। সব কেমন অবাস্তব, স্বপ্নের মত মনে হইতেছে, অথচ বাস্তবতার অনুভূতির চাপে প্ৰাণটা তার হাঁসিফাস করিতেছে। নিজেকে কত বার এই পরিস্থিতিতে ধীর স্থির আত্মপ্রতিষ্ঠ বীরের মত সে কল্পনা করিয়াছে, কুন্তলার কাল্পনিক আর্তনাদে পৰ্যন্ত সে বিচলিত হয় নাই, সঙ্কল্পে অটল থাকিয়াছে। কুন্তলাকে সঙ্গে করিয়া বাড়ীতে ঢুকিবার আগে হইতেই যে, তার হৃদয়-মন এমন অবাধ্যপণা আরম্ভ করিবে, কে জানিত ! উপরে শিশিরের দাদার শোবার ঘরে সে কুন্তলাকে লইয়া গেল। ঘরে বসিবার ব্যবস্থাও ছিল, খাটে বিছানাও পাতা ছিল। পাশাপাশি বালিশ পাতা । নবপরিণীত স্বামীস্ট্রীর সে শয্যার দিকে চাহিয়া ক্রিটুপ যেন চমকিয়া গেল। কুন্তলার পিছু পিছু সবে সে ঘরের ভিতরে পা দিয়াছিল, হঠাৎ নিঃশব্দে বাহির হইয়া বারান্দায় রেলিং ধরিয়া দাড়াইয়া রহিল। কুন্তলা ঘরের মধ্যে একটা চেয়ারে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। ক্রিটুপকে ডাকিল