পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूत्कां RV) মনোরমা হাসিমুখে বলিল, পারবে না ? একটা কাজের ভার নিয়ে শেষকালে ফ্যাসাদ বাধানোর স্বভাব কি তোমার যাবে না, রাজুভাই ? কালীকে আজ আনাব বলে রেখেছি, কত আশা করে আছে মেয়েট, কে এখন ওকে আনতে যাবে ? আমার মাথা ধরেছে-ধরেছে। আবার মাথা ধরেছে? কতবার বললাম একটা মাদুলি নাও-না না, ওসব কথা আর আরম্ভ ক’রো না রাজু ভাই, ওসব আমি জানি, আমি মুখুঢ়া গেয়ে মেয়ে নই। মাদুলি নিলে মাথাধরা সেরে না যাক, উপকার হবে। ছাই হবে। কিছু উপকার হবেই। ভূতেও তো তোমার বিশ্বাস নেই, কিন্তু রাত দুপুরে এক এক শ্রশান ঘাটে গিয়ে দেখো তো একবার ভয় না করলেও দেখবে কেমন কেমন লাগবে। অবিশ্বাস করেও তুমি একটা মাদুলি নাও, আমার কথা শুনে নাও, মাথার যন্ত্রণা অন্ততঃ একটু কম হবেই। মনোরমা হঠাৎ গম্ভীর হইয়া গেল । মাথা ধরুক আর যাই হোক, কালীকে তোমার আনতে যেতে হবেই ভাই। না গেলে কোনদিন তোমার সঙ্গে কথা বলব না । বেশ বুঝা যায়, মনোরম রাগ করে নাই, শুধু অভিমানে মুখ ভার করিয়াছে। স্নেহের অভিমান, দাবীর অভিমান । রাজকুমার মৃদু হাসিয়া বলিল, আচ্ছা দেখি। যেতে পারলে যাব’খন। গিরীন্দ্ৰনন্দিনীর মা ঘরে ঘুমাইতেছিল। গিরি নিজেই দরজা খুলিয়া দিল। রোগী লম্বা পনের ষোল বছরের মেয়ে, তের বছরের বেশী বয়স মনে হয় না । রাজকুমারের পরামর্শে রসিকবাবু মেয়েকে সম্প্রতি একটি পুষ্টিকর টনিক খাওয়াইতে আরম্ভ কবিয়াছেন। টনিকের নামটা রাজকুমার অজিতের কাছে সংগ্ৰহ করিয়াছিল । অজিত বলিয়াছিল, এমন টনিক আর হয় না। রাজু। ভুল করে একবার একটা সাত বছরের মেয়েকে খেতে দিয়েছিলাম, তিন মাস পরে মেয়েটার বাবা পাগলের মত তার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে আরম্ভ করল । গিরি মাসখানেক টনিকটা খাইতেছে কিন্তু এখনও কোন ফল হয় নাই । তবু সেমিজ ছাড়া শুধু ডুরে শাড়ীটি পরিয়া থাকার জন্য গিরি যেন সঙ্কোচে একেবারে কাবু হইয়া গেল। যতই হােক, বাঙ্গালী গৃহস্থ ঘরের মেয়ে তো, পনের