পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ङ्रकाq Rre) অনেকগুলি চোখের, তার মধ্যে বেশীর ভাগ মেয়েলি চোখ, প্ৰত্যাশাপূর্ণ দৃষ্টি মুখে আসিয়া পড়িয়াছে অনুভব করিয়া এক মুহূর্তের জন্য খ্যামলের উৎসাহ যেন উপিয়া গেল। এখন মালতী আরেকবার তার পাঞ্জাবীর কোণ ধরিয়া একটু টানিলেই সে হয়তো বসিয়া পড়িত । অসহায়ের মত এদিক ওদিক চাহিতে চাহিতে তার চোখে পড়িয়া গেল, রাজকুমারের মুখে মৃদু অমায়িক হাসি ফুটিয়া আছে, ছোটছেলে বাহাদুরী করিতে গেলে স্নেহশীল উদার গুরুজন যেমন প্ৰশ্ৰয়ের হাসি হাসেন । দেখিয়া শ্যামলের মাথা গরম হইয়া গেল । -আমার কথা শুনে আপনারা অনেকেই ক্ষুঃ হবেন। আমাকে - কয়েকটি অপ্ৰিয় সত্য কথা বলতে হবে। বিশ্বনারী বা মাদ্রাজী মহিলাদের সম্বন্ধে নতুন কিছু আপনাদের শোনাবার জন্য আমি উঠে দাডাইনি, রাজকুমারবাবুর বক্তৃতার কয়েকটা মারাত্মক ভুল দেখিয়ে দেওয়া আমার উদ্দেশ্য । ব্যক্তিগতভাবে রাজকুমারবাবুকে আমি শ্রদ্ধা করি, উনি আমার অনেক দিনের বন্ধু রাজকুমারের মুখে আর হাসির চিহ্নও ছিল না। কি সর্বনাশ, এতগুলি লোকের সামনে তাকে অপদস্থ করার জন্য শ্যামল উঠিয়া দাড়াইয়াছে। নিরীহ শান্ত ভালমানুষ শ্যামল! রাজকুমারের কোন সন্দেহই ছিল না যে সে অনেক ভুল করিয়াছে। এখন তার আতঙ্ক জন্মিয় গেল যে ভুলগুলি নিশ্চয় সাধারণ তুচ্ছ ভুল নয়, শ্যামল চােখে আঙ্গুল দিয়া ভুলগুলি দেখাইয়া দিলে তার আর মাথা উঁচু করিয়া বসিয়া থাকিবার উপায় থাকিবে না। সাংঘাতিক হাস্যকর ভুল না হইলে শ্যামল কি সাহস কয়িয়া মুখ খুলিতে পারিত ? না জানি কি ভাবিবে সকলে, মনে মনে কত হাসিবে, তার জ্ঞান বুদ্ধি অভিজ্ঞতার খোলসটা যখন শ্যামল ছিড়িয়া ফেলিতে থাকিবে । রাজকুমারের সর্বাঙ্গ ঘামিয়া গেল। এতদিন সে জানিত, তার সম্বন্ধে মানুষ কি ধারনা পোষণ করে সে বিষয়ে তার কিছুমাত্র মাথাব্যথা নাই, এই সমস্ত অল্পবুদ্ধি অগভীর নরনারীর মতামতকে সে গ্ৰাহও করে না। এক মুহুর্ত আগেও সে নিজের কাছে স্বীকার করিত না বক্তৃতা না জমিলে মন তার খারাপ হইয়া যাইবে। এখন শ্যামলের উদ্যত আঘাতে নিজের বাহাদুরীর প্রাসাদ ভাঙ্গিয়া পড়ার উপক্রম করিয়াছে দেখিয়া সে বুঝিতে পারিল, লোকে তাকে কি ভাবে তা কত দামী তার নিজের কাছে। অবজ্ঞার ভয়ে মরণ কামনা করার মত দামী সকলের তাকে বাহাদুর भgन कबू । রাজকুমারের অপরিচিত একটি মেয়ে উঠিয়া দাড়াইয়াছিল, দেখিলেই বুঝা