পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

pf r 响 RS' s 添 ရှိှိမှု'၊ ጿ'፰( , করার সময় সে আমন আগ্রহের সঙ্গে মুখ বাড়াইয়া দিলে রাজকুমার তাঁকে কেন অপমান করিয়াছিল ? রাজকুমারের মন কবিত্বময়, বাস্তব জগতের অনেক উচুতে নিজের মানস-কল্পনার জগতে সে বাস করে ; বড় ভাবপ্রবণ প্রকৃতি রাজকুমারের। তার মনের ঐশ্বৰ্য্য রাজকুমারকে মুগ্ধ করিয়াছে, তার হালি কথা গান ভাবালোকের অপার্থিব আনন্দ দিয়াছে রাজকুমারকে, তার সান্নিধ্য অনুভব করিয়াই রাজকুমারের মন এমনভাবে अडिडूड হইয়া গিয়াছে যে @कर्ष्णिं षष्ठनञ्च প্ৰয়োজনও সে বোধ করে নাই। সেদিন রাজকুমার তাই চমকাইয়া গিয়াছিল, কি করিবে ভাবিয়া পায় নাই। গান শুনিতে শুনিতে যে মানুষটা স্বপ্ন দেখিতেছিল হঠাৎ সচেতন হওয়ার পর তার খাপছাড়া ব্যবহারে অপমান বোধ করিয়া সেদিন তার রাগ করা উচিত হয় নাই। হয়তো সেদিন রাজকুমারের প্রথম খেয়াল হইয়াছিল, সে শুধু মন আর হাসি গান কথা নয়, একটা শরীরও তার আছে । হঠাৎ যে রাজকুমার এমন অসভ্যোর মত খুটিয়া খুটিয়া তার সর্বাঙ্গে চোখ বুলাইতে আরম্ভ করিয়াছে, এটা হয়তো তার এই নৃতন চেতনার প্রতিক্রিয়া। তার অপূর্ব রূপ প্ৰথম দেখিতে আরম্ভ করিয়া রাজকুমারের চোখে ধাঁধা লাগিয়া গিয়াছে। সরসী ভাবে ; এতদিন তার শরীরটাই ছিল রাজকুমারের কাছে বড় । তার দিকে তাকাইলে মানুষ সহজে চোখ ফিরাইতে পারে না, তার এই দেহের বিস্ময়কর রূপ মানুষের মধ্যে দুরন্ত কামনা জাগাইয়া দেয়। এতকাল রাজকুমার তার শরীরটা দেখিয়াই মুগ্ধ হইয়াছে, তাই লজ্জা সঙ্কোচে তার দিকে ভাল করিয়া তাকাইতে পারে নাই। তারপর রাজকুমার বুঝি তার অন্তরের সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে সচেতন হইয়া উঠিয়াছে। পুরুষের মন-ভুলানো মেয়েলি হাবভাবের সস্তা অভিনয় সে যে কখনো করে না, লজ্জাবতী লতা সাজিয়া থাকে না, নাকি সুরে কথা বলে না, ভাবপ্রবণতা পছন্দ করে না, বাজে খেয়ালে হাল্কা খেলায় সময় নষ্ট করে না, এসব বোধ হয় রাজকুমারের খেয়াল হইয়াছে। খুব সম্ভব সেদিনের সভায় রাজকুমার তার প্রকৃত পরিচয় পাইয়াছিল। তারপর ক্রমে ক্রমে তার ভিতরের গভীরতার জন্য রাজকুমার তাকে ভালবাসিয়া ফেলিয়াছে। ভালবাসে বলিয়া এখন আর রাজকুমার তার দিকে চাহিতে সঙ্কোচ বোধ করে না, মুগ্ধ বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া যায়। মালতী ভাবে : ছিছি, রাজকুমার কেমন মানুষ ? সে তো স্বপ্নেও ভাবিতে পারে নাই রাজকুমারের এমন পরিচয়ও তাকে পাইতে হইবে । সে ভালবাসে