পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ VO SV9 রিণির মত রঙ নেই, আমি কালো। তবু ভাবলাম, তুমি তো রঙ দেখতে bNet তুমি কঁপিছ সরসী। মনের জোরে কুলোচ্ছে না। কি মনে হচ্ছে জানো ? ছুটে গিয়ে খাটে তোষক গদির নীচে ঢুকে পড়ি। কিছু ভাবা আর করার মধ্যে কত তফাৎ ! তখন থেকে দরজার কাছে দাড়িয়ে আছি, তুমি না ডাকলে দরজা খুলতেই পারতাম না । তুমি বড় সুন্দর সরসী । চুপ। ওসব বলে না। দিম আটকে মরে যাব। মারবে না, শোন । তোমার শরীর এমন সুন্দর বলে তোমার মনটাও সুন্দর । তোমায় এখন আমি প্ৰণাম করতে পারি, জানো ? অনির্বচনীয় আনন্দে রাজকুমারের চিত্ত ভরিয়া যায়, নিরবসন্ন সক্রিয় শাস্তির মত এক অপূর্ব অনুভূতি জাগে। শক্তি ও সহিষ্ণুতার যেন সীমা নাই। শ্রদ্ধা, মমতা, কৃতজ্ঞতা আর সহানুভূতি মেশানো যে মনোভাব সরাসীর প্রতি জাগে প্রেমের চেয়ে তা বোধ হয় কম জোরালো নয় । সরসী তাকে বোঝে, বিশ্বাস করে। ব্যাখ্যা করিয়া সরাসীকে তার কিছু বুঝাইতে হয় নাই, রিণির কাছে তার বক্তব্যের ভাঙ্গাচোরা বিকৃত বিবরণ শুনিয়া সে যতটুকু বুঝিতে পারিয়াছে তাই মনে করিয়াছে যথেষ্ট । আর জেরা করে নাই, তর্ক তোলে নাই, নিজের হইয়া ওকালতি করার যন্ত্রণা তাকে দেয় নাই, বিনা ভূমিকায় নিজের দেহটি তাকে দেখিতে দিয়াছে। সরসী ছাড়া আর কেউ তা পারিত না । সরসীর মুখ বিবৰ্ণ হইয়াই ছিল, ধীরে ধীরে কখন আপনা হইতে তার চােখ বুজিয়া যায়, আর খোলে না । এবার যাও সরসী । তোমার কাজ হয়েছে ? এসেছি। যখন, মাঝখানে পালিয়ে গিয়ে লাভ হবে না । আর দু’তিন মিনিট কোন রকমে সইতে পারব। আর দরকার নেই । সরসী শোয়ার ঘরে গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দেয় । কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় না। কিন্তু বুঝা যায় দরজার কাছেই সে দাড়াইয়া আছে। বোধ হয় দম নিতেছে। এবার তুমি যাও রাজুদা। আজ আর তোমায় মুখ দেখাতে পারব না। eाघछ ।