পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo মানিক গ্ৰন্থাবলী টাকা পাঠাই নাই। আমি কেমন করিয়া জানিব টাকাই বা কোথায় পাইব। গলায় দড়ি দিবে জানাইলে চুরি ডাকাতি করিয়া পাঠাইতাম কিন্তু হতভাগী। ইহা জানাইল না। নবিন টাকা পাঠায় নাই। তাহার দোষ কি নূনা জলে ধানের সর্বনাশ হইয়াছে সে কাজ করিয়া টাকা পায় নাই এবং তাহার কি দুর্দশা সে কলে কুলির কাজ করিতে গিয়াছে। চাপাবাল কয়দিন খাইতে পায় নাই হৈমীকে লইয়া কোথায় পড়িয়া থাকিয়াছে এজন্য আমার বুক ফাটিয়া গিয়াছে। গজেন মুক্তারের বাড়ীতে উঠিয়া গলায় দড়ি দিয়াছে তাহা হৈমীর জন্য। গজেন মুক্তারের মুহুরির সাথে হৈমী কোথায় চলিয়া গিয়াছে এই কলঙ্কে বুক ফাটিয়া চপাবালা গলায় দড়ি দিয়াছে। সব গজেন মুক্তারের কারসাজি বলিয়া শুনিতেছি জানিবা । বিন্দী পাড়ার বিপিন হৈামীর জামায়ের বড় ভাই সে গিয়া শুনিয়া আসিয়া বলিয়াছে। সব লোকে আমার মুখে থুথু দিতেছে আমি কেন জীবন্ত আছি। গজেন মুক্তার টাকার কুমীর হইয়া এমন কাজ করিল। মুহুরিকে দিয়া হৈামীকে পলাইয়া লইয়া গেল। গজেন মুক্তার থানায় গিয়া মুহুরির নামে থানা পুলিশ করিয়াছে। বিপিন বলিল ইহা তাহার কারসাজি বজ্জাতি করিয়া করিয়াছে যে লোকে বলিবে সে নিদুষী । মুহুরিকে তুমি চিনবা সে চাপাবালার পিসাতো ভাসুরের ছেলে শরৎ। চাপাবালার শ্বশুরবাড়ী থাকিবার কালে হৈমীর কাছে আসিয়া হৈমীকে কত আদর করিত। কাকী তাড়াইয়া দিলে সেই নাকি চাপাকে গজেন মুক্তারের বাড়ী ঠাই দিয়াছিল। শরৎ এমন ভালোমানুষ আর অল্পবয়সে তাহার কেন এমন সাহসী হইবে । আমি ? এই হুশে আছি আমার মরণ নাই। চাপাবালা গলায় দড়ি দিল হৈমী কলঙ্ক করিল। আমি কি করিব। শুধু বুক চাপড়াই মরিব । আমার খাওয়া জোটেনা। কয়টা টাকা পাঠাইতে লিখিলাম তুমি পাঠাইলে না। কয়মাস বেতন পাইয়াছ তথাপি ইহা কিরূপ। তোমাকে কতকাল খাওয়াইয়াছি ভুলিয়া গিয়াছ। তুমি মধুবনী গিয়া সুখে আছ। আমি না খাইয়া মরিব। পত্রপাঠ কয়টা টাকা श्रार्टाक्षेता । 命衍”