পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৪৪

V2O7 निक यंहांबव्ौ ভদ্রভাবে করবে- রেসপেক্টফুলি।-উ ? তাই বটে, ভুলে গিয়েছিলাম। কি যেন বললে তুমি ? রাজকুমার অত্যন্ত নরম সুরে বলিল, বোসে । তোমার সঙ্গে কথা আছে। রিণি আসিয়া পাশে বসিবার পরেও রাজকুমার তার দিকে চাহিয়া থাকে, কোন অনুভূতি হৃদয়ে আলোড়ন তুলিয়াছে বুঝিতে পারে না। কাছে আসিবার পর এখন রিণির চোখ দেখিয়া সে যেন বুঝিতে পারে তার কি হইয়াছে। রিণির চাহনি স্পষ্ট ভাবেই তার কাছে সব ঘোষণা করিয়া দেয়, কিন্তু মনে মনে রাজকুমার প্ৰাণপণে সে সংবাদকে অস্বীকার করে। তার মনে হয়, ব্রিণির সম্বন্ধে এই ভয়ঙ্কর সত্যকে স্বীকার করিলে তার নিজের মাথাও যেন খারাপ হইয়া যাইবে । রিণি ব্লাউজের বোতাম লাগায় নাই, লুটানো কাপড় তুলিয়া রাজকুমার তার গায়ে জড়াইয়া দিল। রিণির সঙ্গে এখন কথা বলা না বলা সমান, কোন বিষয়েই তার সঙ্গে আলোচনা করার আর অর্থ হয় না। তবু তাকে বলিতে হইবে। রিণি সুস্থ আর স্বাভাবিক অবস্থাতে আছে ধরিয়া লইয়াই তার সঙ্গে তাকে আলাপ করিতে হইবে। নতুবা নিজে সে অসুস্থ হইয়া পড়িবে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। তোমার বাবাকে ওসব বলতে গেলে কেন রিণি ? রিণির মুখে বিস্ময় ফুটিয়া উঠিল। — বাবাকে ? কি বলেছি বাবাকে ? T আমার সম্বন্ধে ? \ তোমার সম্বন্ধে ? কই না, কিছুই তো বলিনি বাবাকে তোমার সম্বন্ধে ? বাবার সঙ্গে আমি কথাই বলি না যে ! পলকহীন দৃষ্টিতে রিণি রাজকুমারের চোখের দিকে সোজা তাকাইয়া থাকে, তার মুখের ভাবের সামান্য একটু পরিবর্তনও ঘটে না। তারপর ধীরে ধীরে স্পষ্ট छछ्रेम्ना ऐछर्छ c@कांcषद्म अडिाडि । দাড়াও ডাকছি। বাবাকে । রাজকুমার ব্যন্ত হইয়া বলে, থাক, রিণি, থাক। বারণ কাণে না তুলিয়া সিড়ির মাখা পৰ্যন্ত আগাইয়া গিয়া তীক্ষ্ম কণ্ঠে চীৎকার করিয়া রিণি স্তর কে, এলকে ডাকিতে থাকে, বাবা ? বাবা ? ড্যাডি ? ড্যাডি ? আন্তর কে, এল উপরে আসিতেই হাত ধরিয়া তাকে সে টানিয়া আনে । রাজকুমারের সামনে, কঁাদ কঁাদ হইয়া বলে, রাজুদার নামে তোমায় আমি বলেছি। বাবা ? শুর কে, এল শান্ত কণ্ঠে বলেন, কইনা, কিছুই তো বলনি তুমি ?