পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পরশুর গল্প Nt) ইহাক আসে ; রামপদ । “তুই খা ।” 帕 বলে রামপদ বাইরে যায়। জন পাঁচেক সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে ঘনশ্যাম এসে দাড়িয়েছে সরকারী সমনজারীর পেয়াদার মতো গরম গাম্ভীৰ্য নিয়ে। শঙ্কর এসেছিল একটু আগে, ঘনশ্যামদের আবির্ভাবে সুরমাদের যাওয়া হয়নি । বৌ এসেছে রামপদ ?

  • उांउ |?

“ঘরে নিয়েছিস ?” “অজ্ঞে ।” 'বার করে দে এই দণ্ডে । যারা এনেছে তাদের সঙ্গে ফিরে যাক ৷” “ভাত খাচ্ছে।” রামপাদ’র ভাবসাব জবাব-ভঙ্গি কিছুই ভালো লাগে না, ঘনশ্যামদের। টেকে নন্দী শুধোয়, “তোর মতলব কী ? রামপদ ঘাড় কাত করে ।- "আভোঃ * “বোঁকে রাখবি ঘরে ? ‘বিয়ে করা ইস্তিরি। আজ্ঞে । ফেলি কী করে ? - এই নিয়ে একটা গোলমালের সৃষ্টি হয় মানসুকিয়ার চাষাভুষোর সমাজে । ঘনশ্যামরাই জোর করে জাগিয়ে রাখে আন্দোলনটাকে । নইলে হয়তো আপনা থেকেই ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে থেমে যেত মুক্তার ঘরে ফেরার চাঞ্চল্য। সামাজিক শান্তি দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতা ঘনশ্যামদের নেই, জমিদার দেশে থাকলেও হয়তো তাকে দিয়ে কিছু করানো যেত। তবে সামাজিক শাস্তিই যথেষ্ট। সবাই যদি সব রকমের বর্জন করে রামপদকে, কথা পৰ্যন্ত বন্ধ করে, তাতেই পরম শিক্ষা হবে রামপদ’র । সমাজের নির্দেশ অমান্য করলে শুধু এক-ঘরে হয়েই যে সে রেহাই পাবে না। তাও জানা কথা । 'টিটকারী, গঞ্জনা, মারধোর, ঘরে আগুন লাগা সর কিছুই ঘটবে তখন। সবাই এসব করে না, তার দরকারও হয় না। সবাই যাকে ত্যাগ করেছে, যার পক্ষে কেউ নেই, হয় বিপক্ষে নয়। উদাসীন, যার উপর যা খুন্সী অত্যাচার করলেও কেউ ফিরে তাকাবে না, মিলেমিশে সেই পরিত্যক্ত অসহায় মানুষটাকে পীড়ন করতে বড় ভালোবাসে এমন যারা আছে ক’জন, তাদের দিয়েই কাজ হয় । তবে সময়টা পড়েছে বড় খারাপ। প্ৰায় সকলেই আহত, উৎপীড়িত, সমাজ