পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পরশুর গল্প VNN) মনের মত হয় না, যেমন সে ভেবেছিল সে-রকম। মনটা তার আরেকটু দমে যায়। সাধ হয় একটু বিলাতী খাবার। গিরির সাথে রাত কাটাবার। সময়ের হিসাবেও আটক পায় না । সভা হবে অপরাহে, সকালে রওনা দিলেও গায়ে সে পৌছবে ঠিক সময়ে ! গোকুলকে সবচেয়ে কমদামী বিলাতী বােতল কিনতে দিয়ে সে যায় গিরির ওখানে । খোলা দরজায় দাড়িয়ে ঘনশ্যামের চোখ উঠে যায় কপালে, शड त्रूक উঠে লোম খোজে জামার কাপড়ের নীচে। মাদুর পেতে ভদ্রঘরের চারটি মেয়ে গিরিকে ঘিরে বসেছে, দু'জন তার চেনা। মুক্তাকে নিয়ে যারা রামপদ’র কাছে cऔदछ रिश्नछिन । নিঃশব্দে সরে পড়বার, চেষ্টা করারও সুযোগ মেলে না, “এই ! শোন, শোন ।” বলে গিরি লাফিয়ে উঠে এসে চেপে ধরে গলাবন্ধ কোটের প্রান্ত । “ভাগছে যে ? দাড়াও, কথা আছে অনেক ।” “ওনারা কারা ? “তা দিয়ে কাজ কি তোমার ?” গিরি ফুসে ওঠে। জামা সে ছাড়ে না। ঘনশ্যামের, পিছন ছেড়ে সামনেটা ধরে রাখে। কটমটিয়ে তাকায় বিষন্ন ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে। টোক গিলে দাতে দাত ঘষে। “মা না কি ভালো আছে, বেশ আছে, মোর মা ? “आgछ ना ?' ‘আছে ? মাথা বিগড়েছে। কার তবে, মোর ? ক্ষেপেছে কে, মুই!! তা ক্ষেপিছি, মাথা মোর ঘুরতে নেগেছে। ওরে নক্ষীছাড়া, ঠিক, মিথুক —” “ও গিরিবালা !’ সুরমা ভিতর থেকে বলে মৃদু স্বরে। গাল বন্ধ করে নিজেকে গিরি সামলায়, গলা নামিয়ে বলে, “মাের বাপকে টাকা দিয়ে বিভূয়ে মরতে পোিঠয়েছিল কে ? “ওনারা বলেছে বুঝি ?” “মিছে বলেছে ?” গিরি ডুকরে কেঁদে ওঠে বাপের শোকে, “ও বাবা ! মোর নেগে তুমি খুন হলে গো বাবা। এ নচ্ছার মেয়ার ধরে প্রাণ কেন আছে গো বাবা।” ভেতর থেকে আবার সুরমা ডাকে : “ও গিরিবালা ! তোমার বাবা মরেছে কে বললে ? খবর তো পাওয়া যায়নি কিছু! বেঁচেই হয়তো আছে, মরবো কেন ? “নিখোজ তো হয়েছে আজ দশ মাস।” গিরি বলে নিজেকে সামলে গলা नांभिन्न । ।