পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञ कॉक् प्रश्नेन ? VSG ঘনিয়ে আসে রুশ্নের যাতনাভিরা লোলুপতা নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি বিকারগ্রস্তের তীব্ৰ কাতরতা । ‘दिव्नांडॊौ ? গোকুল সায় দেয়। গিরি যেন শিথিল হয়ে ঝিমিয়ে যায়। অতি কষ্টে বলে, “যাক, এনেছ যখন, খাও শেষ দিনটা । ভোর ভোর উঠে চলে যাবে। কিন্তু ।” মদের গ্লাসে দু-চার বার চুমুক দিয়ে একটু স্থির হয়ে ঘনশ্যাম ভাবে, না, কোন উপায় নেই। ভয় দেখানো, জবরদস্তি, মিষ্টি কথা, লোভ দেখানো, বানানো কথায় ভোলানো কিছুই খাটবে না। সে গিরি। আর নেই, সেই ভীরু লাজুক বোকা হাবা সরল গেয়ে মেয়ে । পেকে ঝানু হয়ে গেছে। কিছু পেসাদ পেয়ে গোকুল বিদায় হয়। খুব ভোরে এসে সে ঘনশ্যামকে ডেকে তুলে নিয়ে যাবে। রাত বাড়লে গিরি জড়িয়ে জড়িয়ে বলে, “কি করি বল ? কাল একবার যেতে হবেই। মার জন্য আঁকুপাকু করছে মনটা । তা ভেবো না তুমি। মার একটা ব্যবস্থা করে ফিরে আসব ক’দিন পরে। মাঝে সাঝে গায়ে যেতে দিও মোকে, এ্যা ? ভেবে না, ফিরে আসব।” গেলাস থেকে উছলে পড়ে শাড়ী ভিজে যায় গিরির। খিল-খিল করে হাসতে হাসতে রাগের চোটে গিরি গেলাসটা ছুড়ে দেয় ঘরের কোণে । বিচার-সভায় লোক খুব বেশী হল না, মানসুকিয়ার ঘেষা ঘোষি 5ধরলে । লোক কমেই গেছে দেশে । রোগে শয্যাশায়ী হয়ে আছে বহু লোক । অনেকে আসতে পারেনি। আসবে ঠিক করেও, কঁাপিতে কঁাপিতে জ্বরে পড়ায় । অনেকে ইচ্ছা করে আসেনি। সমাবেশটাও কেমন বিম-ধারা নিরুত্তেজ, প্ৰাণহীন। ক্ষীণ শীর্ণ অবসন্ন সব দেহগুলি, চোখে উদ্দেশ্যহীন ফাক চাউনি। সভাৱ বাকৃগুজনও স্তিমিত। কথা কইতে ভাল লাগার দিন যেন নেই। বছর দুই আড়াই আগে, ঘনশ্যামের এই সদর দাওয়া আর সামনের ফাঁকা জমিতে শেষ সামাজিক বিচার-সভা বসেছিল এই চাষভুষো শ্রেণীর, পদ্মলোচনের বোনের ব্যাপার নিয়ে। কি চাঞ্চল্য আর উত্তেজনা ছিল সে জমায়েতে, মানুষের কলরবে গমগম করছিল। কি ঔৎসুক্য ফুটেছিল। সকলের মুখে এক বিবাহিতা নারীর কলঙ্কের আলোচনা আরম্ভ হওয়ার প্রতীক্ষায়। তার তুলনায় এ যেন সরকারী জমায়েত ডাকা হয়েছে বর্তমান অবস্থায় গ্রামবাসীদের কি করা উচিত বুঝিয়ে দিতে।