পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V সরোজ বাড়ুয্যের হাসির শব্দে গৌর চমকে গেল। বঁড়িয্যে হাসে খুব কম, যখন হাসে হাসিটা তার বাজীর বোমার মত দমাস করে ফেটে চীনা পটকার মত পটাস -পটাস ফেটে চলে। দেহের অনুপাতে গলার নালিটা তার একটু সরু ! ‘গাছে কঁঠাল গোপে তেল ৷” “আজ্ঞে না মুক্তারবাবু বললে-” বাড়ুয্যের হঠাৎ ফাটা হাসি আচমকাই থেমে যায় ! ধমকের সুরে সে বলল, “মোক্তারবাবুরা আমন বলে ! আরো মূখুঢ়, তোর কাকীর নামে যদি জমি কিনে থাকে ? যদি বলে ভিন্ন হবার পর কিনেছে ? যদি বলে সম্পত্তি সব তার, তোকে শুধু মানুষ করেছে খাইয়ে পরিয়ে ? মুখখানা শুকনো করে গৌর দলিলের নকল দেখায় - তাকে ভিন্ন করার প্রায় আড়াই মাস আগে চাদিকাকা নিজের নামে জমি কিনেছে। রহিম আদালতে হলপ করে বলবে যে জমি কেনার সময় গৌর আর চাঁদ এক বাড়ীতে একান্নে ছিল। গৌরের বাপ এ-বাউীতে বাস করেছে স্বর্গে যাওয়া পৰ্যন্ত, চাদ কি করে বলবে যে দয়া করে আশ্ৰয় দিয়ে তাকে মানুষ করেছে ? না, কোনদিকে ফাক নেই। সনৎ মোক্তার তাকে সব পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে। এবার পটলের সঙ্গে চোখ চাওয়া চাওয়ি করে বাড়ুয্যে মুচকে হাসল। রহিমের ঠোটের কোনেও যেন হাসি দেখা গেল একটু । “তোমার কাকা কি বলে গৌর ? পটল জিজ্ঞেস করল। “কাকার কাছে যাইনি।” গৌর দু’বার ঢোক গিলল, “যেমন ঠকিয়েছে আমায় তেমনি জব্দ হোক ৷” ‘ও, ঝাল ঝাড়ছ?”। পটল বলল। এতক্ষণে ব্যাপারটা তার বোধগম্য হয়েছে। “জব্দ তুমিও হবে। বরং বেশী করে হবে। চাদার সঙ্গে লড়তে পারবে তুমি ? তার চেয়ে আপোষে ভাগটা আদায় করে নিতে পারলে কাকা তোমার জব্দ হত গৌর।” বাড়ুধ্যে এক খদ্দেরের জন্য আড়াই সেরা চিনি ওজন করতে করতে বলল। “আমিও তাই বলছিলাম। বাবু ও মোটে কান দিলে না।”-রাহিম সাগ্রহে नाश ब्लि । একেবারে নালিশ খুঁকে কাকাকে শাস্তি দেবার কথা সনৎ মোক্তারের পাল্লায় পড়ার আগে গৌরও ভাবেনি। উত্তেজিত, উল্লসিত, অভিভূত করে সনৎ মোক্তার কি যেন করে দিল তাকে, কি যেন করিয়ে নিল তাকে দিয়ে ! এখানে এই পাকা