পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o a शांनिक यंहांदंर्नौ ভূদেবের আসবার সম্ভাবনাই বেশী, মায়ের ওদের আজ-মরে কাল-মরে অবস্থা, অন্যেরাও পারে, তাদেরও মা বোন ভাই আছে। গোলোক যদি আসে ? ওর অবশ্য তেমন আপন কেউ নেই এখানে। তার সঙ্গে যে সম্পর্ক সেটা ধরলে আছে, না ধরলে নেই। তবু, কিছুদিন তো ছিল তার কাছে লোকটা, আর ছিল বলেই ওর জন্য ভোগান্তি তার কম হয়নি এবং হচ্ছে না, খবর নিতে কি আসতে পারে না একবার ? যদি আসে, একচোট ওকে নেবে মঙ্গলা । পাছাটা টনটন করে ওঠে মঙ্গলার, কোমরটা একটু বেঁকে গিয়ে কলসীর জল খানিকট উছলে পড়ে যায়। ইস, কী হয়ে গেছে দেহটা তার এক কলসী জল বইতে এত কষ্ট! জেল হােক, দ্বীপান্তর হোক, ফাসি হোক, গোলোকের নাগাল পেলে মঙ্গলা তাকে ধরা দিতে বলবে । নিজে ধরা না দিলে, সেই তাকে ধরিয়ে দেবে। কেন, কিসের অতি খাতির ওর । , ক্ষোভে দুঃখে চোখ ফেটে জল আসে মঙ্গলার । পায়ের কাছে ঘাসে কলসীটা নামিয়ে রেখে চারিপাশের জগতকে প্রাণভরে গলা ফাটিয়ে একচেটি গালাগালি দিতে মনটা তার ছটফট করে । মাঠ জঙ্গল নালা ডোবাকে, আস্ত আর পোড়া চালার ভস্মগুলিকে, ফসল-ভরা আর ফসল-পোড়া ক্ষেতগুলিকে, অস্ত্ৰাণের সোনার সকালকে, চলমান মানুষ আর গরু বাছুরগুলিকে । মাটিতে পায়ের পাতায় কাটার ব্যথা ভুলে গিয়ে লাথি মারে মঙ্গলা মোটে একবার। গোলোকের কাছে সে সতীত্ব দিতে পারত খৃসী মনে আর গোলোকের জন্য তার সতীত্ব গেল আস্তাকুঁড়ে, লাঞ্ছনা হল অকথ্য। পা দিয়ে আবার রক্ত বেরোল, দ্যাথো ! তার খবর নিতে কেন स्रामgद 6ीigव्जाक । খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অতি কষ্টে বাড়ী গিয়ে মঙ্গলা দুটি ভাত সিদ্ধ করে শুয়ে পড়ে। পা-টা তার একটু একটু করে ফুলতে থাকে সারাদিন, সন্ধ্যার সময় ফুলে ঢোল হয়ে যায়। রাত্রে আরও ফুলবে সন্দেহ থাকে না। পলাশ পাতা পায়ে জড়িয়ে বেঁধে দাওয়ায় শুয়ে মঙ্গলা কাতরায় । জরের ঘোরে তার কেমন নেশার মতো আচ্ছন্ন ভাব এসেছে, মনে তার দেহের জালা যন্ত্রণার অনুভূতি একটু ভোতা হয়েছে। কানাই গেছে অধীরের হারানো গরুটা ফিরিয়ে দিতে, বেগুণ ক্ষেতে চোকায় দত্তারা সত্যই নাচালের খোয়াড়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল - আড়াই ক্রোশ পথ । বলাই গেছে বসন্ত কবিরাজের বাড়ী, মঙ্গলার জন্য ওষুধ আনতে । সন্ধ্যাক্স আবছা অন্ধকারে একটা লোক সোজা উঠান পেরিয়ে দাওয়া ঘেষে LB BDBDLD DDDS DBB KB DS