পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পরশুর গল্প 8 SS অভিশাপ । চেরা বঁাশের বেড়াটাকে মাঝে রেখে এমন একটানা শক্ৰতা চলত দু’পাশের দু’টি পরিবারের মধ্যে যে, সময় সময় মনে হত। কবে বুঝি ওপাশের চালা পুড়িয়ে দেবার ঝোক সামলাতে না পেরে এপাশে নিজের চালাতেই আগুন ধরিয়ে দেয় । গোলমাল এখনো চলে, বিদ্বেষ এখনো বজায় আছে পুরো মাত্রায়। তবে গোডার দিকের মতো খুটিনাটি তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে অহরহ হাঙ্গামা চলে না, গায়ে পড়ে সহজে কেউ ঝগড়া বাধায় না । টিলটি মারলে যে পাটকেলটি খেতে হবে দু’পাশের মানুষগুলি সেটা হাডে হাডে টের পেয়ে সংযম অভ্যাস ক’রতে বাধ্য হ’য়েছে । আক্রমণাত্মক হিংসা কমে এসে এখন দাড়িয়েছে। ঘূণা, বিদ্বেষ, অবজ্ঞা, উপেক্ষা, অবঙ্গোলাত্মক মনোভাবে । খোচাবার ও গায়ের ঝাল। ঝাড়বার প্রক্রিয়াও ক্ৰমে ক্ৰমে বেশ কৌশলময় ও মার্জিত হ’য়ে উঠেছে। এ পাশেব ছেলেমানুষ কানাই মাঝের বেড়ার মাহাত্ম্য ভুলে ও-পাশে সমবয়সী বলাইয়ের সঙ্গে খেলতে গেলে, শত্রুপক্ষের ছেলেকে আয়তে পেয়েও ও-পাশের কেউ তাকে ধরে পিটিয়ে দেয় না, আচ্ছা ক’রে মারি দেওয়া হয় বলাইকে । এ-পাশ থেকে হাক ওঠে, কানাই। কানাই এলে তাকে চডচাপড় মেরে উচ্চকণ্ঠে প্রশ্ন করা হয়, ও-বাড়ী মৱতে গেছিলি কেনরে, বেহায়া পাজী বজাত ? ও-পাশ থেকে জবাব আসে বলাই-এর প্রতি আরও জোর গলার শাসানোতে, ফের যদি ও বাড়ীর কারো সাথে তুই খেলিস হারামজাদা নচ্ছার দু’পাশেই ছেলেমেয়ে আছে, হাজার বলে তাদের বোঝােনও যায় না যে, বেড়ার ও-পাশে যেতে নেই । ছেলেমেয়েরা তাই নিরাপদ থাকে। তবে কুকুর বেড়ালের রেহাই নেই । এপাশের বেড়াল ও পাশে হাড়ি খেতে গেলে তার রক্ষা शांक नों । দু’পাশের হাডিই যখন প্রায় শূন্য থাকছে দুভিক্ষের দিনে, জনাের্দনের ছেলে চন্দ্ৰকুমারের বেী রাগবালার পোষা বিড়ালটা মেউ মেউ ক’রে বেড়াচ্ছে খিদেয় কাতর হয়ে, গোবৰ্দ্ধন একদিন কোথা থেকে যোগাড ক’রে নিয়ে এল আধাসেৱি একটা রুইমাছ! মাছ দেখে খুন্সী হ’য়ে হাসি ফুটল সবার মুখে, छूभूर्ट फ्रान 6नशिन বেশী নেওয়া হল এই উপলক্ষে। গোবৰ্দ্ধনের ছেলে সূৰ্যকান্তের বোঁ লক্ষ্মীরাণী আঁশবিটি পেতে কুটতে বসল মাছ। মাছ কাটা শেষ হ’য়েছে, কাছে দাড়িয়ে সূৰ্যকান্ত বৌয়ের দিকে গোড়ায় যেমন তাকাত প্ৰায় সেই রকম সঙ্গেম দৃষ্টিতেতোকিয়ে আছে মাছের দিকে, কোথা থেকে