পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उष्ट्र् व् प्रव्रात् ङ् . 8 داد নেই। কাল দু’জনে পরামর্শ ক’রে ঠিক ক’রছে প্ৰাণধন চক্রবর্তীকে জমিটা বেচে দেবে। এখন কোন কারণে গোবৰ্দ্ধন বিগড়ে গিয়ে বেঁকে বসলে মুস্কিল হবে। “ঝগড়াঝাটি কারো না খবৰ্দার, ক’দিন মুখ বুজে থাকে।” বিড়াল মারার সময় গোবৰ্দ্ধন উপস্থিত ছিল না। ফিরে এসে ব্যাপার শুনে সে-ও অসন্তুষ্ট হয়ে সূর্যকে বলে, “একটু কাণ্ডজ্ঞান নেই তোদের ? এমনি করে ফ্যাকড়া বাধাও, ব্যাস, জমি বেচাও খতম। খেয়ে তখন কচুপোড়া সিদ্ধ ক’রে। খবৰ্দার, কেউ ঝগড়া করবে না। ওদের সাথে। মুখ বুজে থাকো ক’দিন । সাত বছরের শক্ৰতা স্বার্থের খাতিরে একদিন হঠাৎ স্থগিত হয়ে গেল । দু’পারেই কটু কথা যদি বা কিছু বলা হল, হল চুপি চুপি, চাপা গলায়, নিজেদের মধ্যে। এপার কথা বলল না বটে ওপারের সঙ্গে সোজাসুজি কিন্তু ওপারকে শোনাবার জন্যই এপার চেচালো, “ও কানাই, ওদের বেগুণ ক্ষেতে গরু ঢুকেছেরে !” ওপরও চেঁচালে এপারকে শুনিয়ে, ‘ও বলাই, ওদের পুটু পুকুরপাড়ে একলা গেছে-রে ।” আমতলায় কানাই বলাইকে খেলতে দেখে কোন পার কিছু বলল না । এপারের ছেলে ওপারে যাওয়ায় ওপারের ছেলে চন্ড খেল না । লক্ষ্মীরাণীর বিড়াল প্ৰায় সারাটা দুপুর কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে রইল ওপারের দাওয়ার কোণে জডে করা ছেড়া চটে । হাতটা মনটা বার বার নিসপিস করে উঠলেও রাণীবালা পর্যন্ত তাকে কিছু বললে না। ওপারের পুই গাছের সতেজ ডগাটি লক লক ক’রে বাতাসে দুলতে লাগলো এপারের এলাকায় ! কথা যা বলাবলি হল তিনদিনে দু’পারের মধ্যে, তা’ শুধু গোবৰ্দ্ধন আর জনার্দনের জমি বিক্রি নিয়ে গম্ভীর নৈর্বক্তিক কথা, তবু এভাবেও তো সাতবছর তার কথা বলেনি । দলিল রেজোষ্ট্র করিয়ে টাকা পাবার দিন সকালে বেড়ার এপার থেকেই গোবৰ্দ্ধন বলে, “কখন রওনা হবে, জনা ?” 'এই খানিক বাদেই’, জবাব দিয়ে, একটু থেমে জনাৰ্দন যোগ দেয়, “ফেলনার জরটা বেড়েছে।” ফেলনা রাণীবালার ছেলে । একসাথে বেরোয় দু’জনে, জনাৰ্দন ডাক দিয়ে নিয়ে যায় গোবৰ্দ্ধনকে। একসাথে বাড়ী থেকে বেরোবার কোন দরকার অবশ্য ছিল না। চক্রবর্তীর বাড়ী হ’য়ে তারা সাব রেজেক্ট্রারের অফিসে রওনা হবে, একে একে গিয়ে সেখানে জুটলেও চলতো । কিন্তু সাত বছর বিবাদ ক’রে আর দাতমুখ খিচিয়ে কাটাবার পর দু’ভাই যখন