পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Re भनिक গ্রন্থাবলী অনেক । ছোট ছেলে যে কোন বাড়ী গিয়ে যে কোন মেয়ের সঙ্গে কথা কইতে পারে, কেউ কিছু সন্দেহ করে না । মেয়েলোক কেউ আনাগোনা করলে বরং খটকা লাগতে পারে লোকের মনে কিন্তু এগার বছরের ছেলে যে মেয়ে ভজানোর কাজে লেগেছে, লোকের এ ধারণা সহজে হয় না । কিন্তু অতটুকু ছেলের কথাতে আবার ভরসা করতে মেয়ের সাহস পায় না, এই হল মুস্কিল। থাটি গোরস্ত ঘরের দু'তিনটি মেয়ে প্রায় তৈরী আছে, চপলার মতো চালাকচতুর হাসিখুসীি। নাদুসনুদুস একজন মাগীর এখন একবার গায়ে ঘুরে আসা দরকার। শাড়ী গয়না পরে গিয়ে চক্ষুষ প্ৰমাণ দেখিয়ে আসবে ওদের যে, ওদের জন্যও কেমন পেট-ভরা খাওয়া, ভাল ভাল কাপড় আর দামী দামী শাড়ী গয়না রয়েছে তৈরী হয়ে, কািটবাজারে এসে খেটে উপার্জন করে নিলেই হয়। ‘বেশী গয়না না। কিন্তু । গজেন তা জানে । বেশী গয়না দেখলে খটকা লাগে মানুষের মনে । গরীব মানুষের মনে । “না, বেশী গয়না না । দুদিন পরে ফুল, একটিন কেরোসিন এবং আরও নানারকম জিনিষপত্র নিয়ে গজেন নৌকায় কণিকালি আসে। ফুল দেখতে বিশেষ সুন্দরী নয়। কিন্তু তার চেহারায় একটা আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য আছে। ঘরোয় ভাবের । মা শিশুকে আদর করতে করতে একেবারে গদগদ হয়ে পড়লে তখন তার যে রকম মুখের ভঙ্গি হয়, তারই স্থায়ী ছাচে ঢেলে যেন মুখখানা গড়া হয়েছে ফুলের। তার কথা মিষ্টি, হাসি মোলায়েম। তবু তাকে যারা চেনে তারা তাকে ভয় করে। এই শান্ত নাম গোরস্ত বৌটির মতো চেহারার ভিতরে যে বুদ্ধি আছে তার ধারে অনেকে ক্ষতবিক্ষত ३63 620छ । কাণকালি পৌছে একটা দুঃসংবাদ শোনা যায়। কোনো এক নারীসঙ্ঘ থেকে দু’জন মহিলা কমী গায়ে এসেছে আগের দিন সকালে । বৈরাগী দাসের সেই বৌটাকে তারা সঙ্গে এনেছে কটিবাজারের বাজার থেকে সংগ্রহ করে, ওদের কথায় জীর্ণ শীর্ণ জািরগ্রস্ত বৌটাকে বৈরাগী ক্ষমা করেছে, গ্ৰহণ করেছে। বাড়ী বাড়ী ঘুরে মেয়ে দু’জন সকলকে সাবধান করে দিচ্ছে, লোকের কথায় ভুলে মেয়ের যেন কোথাও না যায়। লোভে পড়ে গিয়ে দু’দিনে মেয়েদের কি অবস্থা হয়, রোগে ব্যারামে শরীর একটু ভাঙ্গলেই কি ভাবে পথে এসে দাড়াতে হয়, বাগে পেলে কি ভাবে দূরে দূরে চালান করে দেওয়া হয়, সব কথা ফ্ৰাস করে দিচ্ছে । বৈরাগী দাপোর্থ