পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8RV) गांब्रिक éjइांदणीौ করেছে যে সে নিজের চোখে কেদার ঘোষালকে জেলেমগীর ঘরে ঢুকতে দেখেছে। রটনাটি আরও খানিকটা বিকৃতভাবে স্বয়ং কেদার ঘোষালের কাণে গিয়ে cऔc56छ ! W সুতরাং কেদার ঘোষাল ভয়ানক চটে গেছে ! কৈলাস বদনাম রটিয়েছে বলে শুধু নয়, বদনামটা একেবারে মিথ্যা বলে। জেলে পাড়ায় কেদার গিয়েছিল। কিন্তু কোন জেলেমগীর ঘরে ঢোকেনি। কে না জানে যে, আজকাল সে কেবল জেলেপাড়া নয়, কুমোরপাড়া, তাতিপাড়া, বাগদীপাড়া সব পাড়াতেই যাতায়াত করছে ? মিউনিসিপ্যালিটির সে সদস্য, এখানকার সর্বপ্রধান নেতা, সে যদি ওসব পাড়ায় না। যায়, কে যাবে ? এতদিন প্ৰয়োজন ছিল না, যায়নি, এখন প্ৰয়োজন হয়েছে, যাচ্ছে । ওসব গরীব দুর্ভাগাদের অবস্থার উন্নতি করার জন্য সে যে চেষ্টা আরম্ভ করেছে, সেটা তো সকলে জানে ? অন্তত, জানা তো উচিত সকলের ? তবু তার নামে এই মিথ্যা বদনাম । আসলে বদনামটা কিন্তু খুব বেশী ছডায়নি। দু’চারদিন একটু ফিসফাস করে চুপ করে গিয়েছিল। কেদারের চরিত্রগত বেশ সুনাম আছে চারিদিকে। সকলে তাকে ভদ্র, সংযত, ভালমানুষ বলেই অনেকদিন হতে জানে। মানুষটা সে উদার, পরোপকারী । সর্বত্র সে যে অনেকের চেয়ে বেশী টাকা চান্দা দেয় তা নয়, মাঝে মাঝে নানা প্ৰতিষ্ঠানে মোটা টাকা দানও করে। তাকে ছাড়া সভাসমিতি হয় না, নতুন পরিকল্পনা দাঁড়ায় না। স্থানীয় হাসপাতাল, স্কুল, লাইব্রেরী প্ৰভৃতি সমস্ত সাধারণ প্ৰতিষ্ঠানের সঙ্গেই তার যোগ আছে। বন্ধু ও পরিচিত সকলেই তাকে পছন্দ করে, অনেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যাপারে তার পরামর্শও জিজ্ঞেস করতে আসে । একুটিমাত্র খাপছাড়া বানানো বদনামে এরকম জনপ্রিয় মানুষের স্বনাম নষ্ট হয় না । তবু, একটু ভয় পেয়ে ছোট লোকদের পাড়ায় যাওয়া কেদার অনেক কমিয়ে দিল । এক মাসের মধ্যে জেলেপাড়ার ধারে কাছেও ভিড়ল না । কিন্তু একেবারে না। গেলেও তো চলে না, নেতৃত্ব বজায় রাখা চাই । তাছাড়া ওদের অবস্থাও সত্যসত্যই বড় শোচনীয় ওদের জন্য যতটুকু পারা যায় না করলেই বা চলবে কেন ? তাই, সকালের দিকে মাঝে মাঝে কেদার ওসব পাড়ায় যায় এবং কমপক্ষে সাত আটজন অনুগত ও উৎসাহী কর্মীকে সব সময় বডিগার্ডের মতো সঙ্গে সঙ্গে রাখে। আগেও অবশ্য এ-রকম বডিগার্ড দু’একজন কেদারের সঙ্গে থাকত। একা উপৰ পাড়ায় যেতে তার চিরদিনই ভয় করে। এখন ছোটখাট একটি দল বেঁধে যায়,