পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ কাল পর্যন্তর গল্প 8 R A করে মারবার মুহূর্তটিতে বিশ্ব-সংসার তুচ্ছ হয়ে যায় তারার কাছে। শরীর বেশ খানিকটা শুকিয়েছে, নােলায় জল কম। তবু জিভে দিব্যি আওয়াজ হয়। উস্উকুন মারার পুটি শব্দের সঙ্গে । প্রথম মড়া কান্নাটা কিন্তু তার বড়ই জমজমাট হল এই চুলের জন্যে। পাচনিখে থেকে মেয়ে মনা এল বিধবা হয়ে, ছেলে হারিয়ে কচি মেয়েটাকে বুকে নিয়ে ধুকতে ধুকতে । তার স্বামী মরবার পর শ্বাশুড়ী আর এক ছেলেকে নিয়ে তাকে ফেলে পালিয়ে গেছে। কঁদিতে কঁাদতে তারা চুল ছিড়িতে লাগল এলোপাথাড়ি চুলেরই যন্ত্রণায়, কিন্তু তার শোকের প্রচণ্ডত দেখে সবাই হয়ে গেল। হতভম্ব। এমন শোকার্ত হবার ক্ষমতা তাদের ছিল না। অনুভূতি ভেঁাতা হয়ে এসেছিল খানিকটা, দেহে শক্তিও ছিল না। অতখানি । তারার কোলের ছেলেটাও ছোট । মনা তার মেয়েটাকে মাৱ কোলে তুলে দিয়ে বলে, “একটু মাই দেম ওকে। মোর দুধ শুকিয়ে গেছে।’ তারার যেন বাকী আছে বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে ! চালের হাঁড়ি ঝেড়ে সে একটু ধুলো-মেশানো গুড়ে বার করে, তাই ফুটিয়ে খাইয়ে দেয় নাতনীকে শুকনো পাতার আগুন জেলে । তিন দিন পরে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের জন্য তারার কান্নাটা হয় অনেক নিস্তেজ । ছেলেমেয়ে দুটাে অসুখে ভুগছিল। ওষুধের অভাবে যে তারা মৱল ঠিক তা নয়, আসলে মরাল খেতে না পেয়ে রোগটাকে উপলক্ষ করে। থেমে থেমে তারা সুর করে কাদাল সারাদিন । আধাপোড়া ভাইবোন দুটিকে খালে ভাসিয়ে দেবার পর সকলের সঙ্গে ভুতো বাড়ি ফিরছে। হৃদয়-পণ্ডিতের বাড়ির সামনাসামনি সে পেছিয়ে পড়ল। সকলের খানিক পরেই সেও বাড়ি ফিরল, এইটুকু একটা মরা ছাগল ছানাকে গামছায় জড়িয়ে । ছানাটা গায়ের প্রাথমিক স্কুলের মাষ্টার হৃদয় পণ্ডিতের ছাগলের । স্কুল উঠে যাওয়ায় হৃদয় এখন জোতদার পূর্ণ ঘোষালের ধানের হিসেব লিখছে। ছাগলছানার মাংসটা মনা’ই রোধে দিল নুন হলুদ দিয়ে, বিনা তেলে। বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি এসে হবিস্থিাও জুটছিল না বলে ওসব রীতিনীতির কথা ভুলে BBLB DBDBDB DB S DD DDD DD DB DBB DBDSS BB DB হাতাহাতি কামড়াকামড়িও হয়ে গেল ভুতোর সঙ্গে তাৱ। আঠার বছরের মনা আর বিশ বছরের ভূতোর মধ্যে। পরদিন এল হৃদয়-পণ্ডিত। সদর দাওয়ায় তয়ে ছাগল তার মাই দেয়