পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8鲁切” भांनिक कहावड़ी ছানাকটাকে, আর গলা টিপে ভুতো কিনা চুরি করে আনে। সেই ছান ! দাম দে ভাল চন্সতো গগন। ছেলেকে তোর পুলিসে দেব। নইলে ।” ‘দাম কোথা পাব পণ্ডিতমশাই ? মনাকে দেখে হৃদয়-পণ্ডিত যেন একটু আশ্চৰ্য হয়েই বলল, “তুই কবে এলিকে মনা ? স্বামী মরল কবে ? ছ'মাস পূর্ণ ঘোষালের সঙ্গে থেকে হৃদয়-পণ্ডিতের চেহারা, তাকানি, কথার ভঙ্গি সব অদ্ভুত রকম বদলে গেছে; স্কুলটা না উঠে গেলে কি হাত বলা যায় না । চিরকাল যে মহান দারিদ্র্যের আদর্শের শোষণে থেতো এবং ভোতা হয়ে নিবিরোধ ভাল মানুষ সেজে ছিল, তাই হয়ত সে থাকত শেষ পৰ্যন্ত । পুর্ণ ঘোষালের সঙ্গে মিশে ঝড়তি পড়তি উপায়ে টাকা কুড়োতে শিখে হঠাৎ সে মানুষ হয়ে উঠল “ভাল’ টুকুর খোলস ছেড়ে । ছাগলছানার জন্য আর বেশী হাঙ্গামা সে করল না । ধমক দিয়ে আর ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করেই ক্ষান্ত হল। কাটাল কাঠের পিাড়িতে জেকে বসল। গগনের জন্য একটা কিছু ব্যবস্থা করে দিতে। ভিটে ছাড়া কিছুই আর নেই গগনের । “বাধা রাখা । রেখে চলে যা বাপ বেটা রোজগার করতে দুটো যোয়ান মানুষ ঘরে বসে না খেয়ে মরছিস, লজ্জা করে না ? যাবার আগে হৃদয়-পণ্ডিত মনাকে বলে গেল, “তুইও দেখছি চুল পেয়েছিস CSS (Neil' মনা বলল, “উঠেই গেল সব চুল।” অনেকে গিয়েছে গা ছেড়ে, অনেকে যাই যাই করছে, কেউ আপনজনদের ফেলে একা, কেউ সপরিবারে। ফিরেও এসেছে দু’একজন - আপনজনদের খুইয়ে। এদের কাছে শোনা গেছে, যাবার ঠাই নেই কোথাও । যেখানে যাও সেখানেই এই একই অবস্থা । দিনভর পরামর্শ চলল। ভিটে বেচাবে না বাধা দেবে, গগন আর ভুতো দুইজনেই যাবে না। একজন যাবে, অথবা বাড়ীৱদ্ধ যাবে সকলেই। এবং গেলে কোথায় যাবে । উকুনের কামড় তারা আর তেমন অনুভব করে না, বোধশক্তি আরও ভেঁাতা। হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বুদ্ধিটাও ভেঁাতা হয়ে যাওয়ায় কোন পরামর্শ-ই সে দিতে পারে না । ভূতোকে আর দেখতে পাওয়া যায় না। পরদিন। হৃদয়-পণ্ডিতের কাছে পথের