পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৭০

8V8 शांनिक jहांवत्रौ বলবে বলেছিল, সে তা একেবারে ভুলে গিয়েছে মনে হয়। তাকে ডাকতে গিয়ে প্রমথ চুপ করে যায়। মিনিট পনের সে চুপ করে বসে ভাবে। তারপর শান্তভাবেই cयादींद्र शुद्ध पां ॥ “তোমায় যা বলছিলাম।” গীতা তার বিছানায় শুয়ে পড়ছিল। বই নামিয়ে হাই তুলে উদাসভাবে বলে, ‘কী বলছিলে ?” প্রমথ কাছে গিয়ে বিছানাতেই রসে । গুছিয়েই সে সব কথা বলে, স্পষ্ট জোরালো ভাষায় । কিন্তু গীতার বিশেষ চমক লেগেছে মনে হয় না। কথাটাকে সে তেমন গুরুতর মনে করেছে কিনা সে বিষয়েও প্ৰমথের সন্দেহ জাগে। “এই বুঝি তুমি রাগ কর নি ?” “রাগের কথা কী হ’ল ? “আমার জন্যে জেলে যাবে বলছি, অথচ তুমি রাগ কর নি। কবে ধমক মেরে বলবে তোমার রাগ হয় নি ।” “তোমার জন্যে জেলে যাচ্ছি না। গীতু।” ‘তবে কী জন্যে ? স্বদেশী করে জেলে যাবার জন্যে বুঝি তিনশ টাকার চাকরী নিয়েছিলে, বিয়ে করেছিলে ? জেলে যাবে না ছাই, এমনি করে তুমি আমায় বলতে চাও, আমায় নিয়ে কি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছ।” গীতার চোখ ছল ছল করে, কী দোষ করেছি। বল, মাপ চাইছি। অমন কর কেন ? প্রমথ অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। একি অভিনয় না। ন্যাকামি ? ন্যাকামি হওয়াই সম্ভব। ওর স্বভাবটাই এ-রকম বিকারগ্ৰস্ত। - “তোমায় বলে কী হবে ? তুমি বুঝবে না।” ‘বুঝব না ? আমি অবুঝ ? বোকা ? না বজাত ? প্ৰথম আর কথা বলে না। শান্ত নির্বিকার হয়ে চুপচাপ বসে থাকে। তাতে গীতার রাগ যায় আরও বেড়ে। একতরফা কিছুক্ষণ ঝগড়া চালিয়ে সে কাঁদতে আরম্ভ করে। প্রমথ তখনও বসে থাকে পাথরের মূর্তির মতো, তার দিকে ফিরেও তাকায় না । সাত দিন পরে প্রথম গ্রেপ্তাৱ হয় আরও অনেকের সঙ্গে । বিচারে তার জেল হয় তিন বছরের। জেলে প্ৰমথের দিন কাটে এক এক। বুড়ী মা, জমখ ও অন্যান্য আত্মীয়বন্ধুরা চিঠি লেখে, মাঝে মাঝে দেখাও করতে আসে। গীত চিঠিও লেখে না দেখাও t