পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शनिक (eहांयकी সকলের খসিয়া গিয়াছে। মুখ ফিরাইয়া সে দেখিতে পায়, পিছন দিকের লম্বা সিটে বসিয়া একজন কি যেন বলিতেছে, আশেপাশে কয়েকজন মন দিয়া ভনিতেছে। রাস্তায় জগদীশের কথা শুনিয়া এই লোকটিই খবরের কাগজে এ আয় পি’র বিজ্ঞাপন না থাকার নূতন ব্যাখ্যা দিয়াছিল। বেশ বুদ্ধিমানের মত চেহারা লোকটির। ভিতরের খবরও হয়তো কিছু কিছু রাখে। কাছে গিয়া শুনিলে হইত না কি বলিতেছে। বাড়ির সামনে ছোট রোয়াকে বসিয়া ছোট ভাই রমেশ পাড়ার ক্ষিতীশের সঙ্গে কথা বলিতেছিল। তার হাতে ছিল সিগারেট, মুখে ছিল হাসি। ধনেশকে দেখিয়া হাসি মিলাইয়া মুখ তার অন্ধকার হইয়া গেল। জলন্ত সিগারেটটা আড়াল করার চেষ্টাও তার দেখা গেল না । ধনেশের সামনে কোনোদিন সে সিগারেট খায় না। ঔদ্ধত্য দেখাইতে চাহিয়াও অভ্যাসের বশেই বোধ হয় একটু তাকে ইতস্তত করিতে হইল, তারপর সিগারেটটা মুখে তুলিয়া টান দিল জোরে। আজ তিনদিন রমেশের সঙ্গে তার কথা বন্ধ । বুমেশ বৌকে বাপের বাড়ি পাঠাইয়া দেওয়ার কথা বলিতে আসিয়াছিল। ‘শুনিবা মাত্র ধনেশ যেন ক্ষেপিয়া গিয়াছিল একেবারে । 'ाe, ऊाड्ने পাঠিয়ে দাও। আজ পাঠিয়ে ts - sē īs তুমিও থাকগে’ স্বশুরবাড়ি - আমাদের সঙ্গে থেকে মরবো কেন !” “চাকরী ছেড়ে আমি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পড়ে থাকিব, তাই বুঝি ভাবলেন আপনি ?” “ভাবিব না ? বোমাকে রাখতে গিয়ে তুমি আবার ফিরে আসবে, অত বোকা বুঝিয়ে না। আমায়।” “না। আপনি খুব বুদ্ধিমান। এত যদি বুদ্ধি আপনার, দিনরাত ভয় দেখিয়ে দেখিয়ে ওর মাথা খারাপ করে দিয়েছেন কেন ? আপনাকে ক’দিন বারণ করেছি। আপনি কথা শোনেন না, পাগলের মত করতে থাকেন। আপনাকে ওরকম করতে দেখলে বাপ মা ভাইবোনের জন্য ছেলেমানুষের ভাবনা হবে না ?” লাবণ্যের পক্ষ সমর্থন করিয়া রমেশ বক্তৃতা আরম্ভ না করিলে হয়তো অন্ধ ক্ৰোধের প্রথম ধাকায় কাণ্ডজ্ঞান হারাইয়া ফেলিলেও ধনেশ আত্মসম্বরণ করিতে পারিত। রমেশকেও দোষ দেওয়া যায় না। এ বাড়ির অস্বাভাবিক আবহাওয়ার চাপে লাবণ্যের মাথা খারাপ হইয়া যাওয়ার উপক্রম হইয়াছে। সকলের অৰিৱাম