পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিস্থিতি পরামর্শ ও আলোচনায় ভয়ংকর সব সম্ভাবনা যতই আনিবাৰ্য ও ঘনিষ্ট হইয়া উঠে, বাপের বাড়ির সকলের জন্য সে তত উতলা হইয়া পড়ে । কঁাদিয়া কাটিয়া মাথা কপাল কুটিয়া অনর্থক করিতে থাকে । সে সমস্ত সহ্য করিতে হয় রমেশকেই। "ছেলে মানুষ । বয়স ভঁাড়িয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল বাপ, ছেলেমানুষ ! পারুল ছেলেমানুষ নয় ? পারুল যদি এখানে থাকতে পারে, তোমার আহলাদী বৌও থাকতে পারবে। পারুল ধনেশের বড মেয়ে । বছর সতের বয়স হইয়াছে, মানুষকে বলা श्ध्र 65iछ । “পারুল আমাদের কাছে আছে।” ‘বৌমাও তাই আছেন।” তখন রমেশও আর ধৈর্য ধরিতে পারে নাই । “সেই জন্যই সরিয়ে দিচ্ছি। এ বাড়িতে মানুষ থাকে না ।” “এ বাড়িতে মানুষ থাকে না, না ? - কি থাকে, জন্তু জানোয়ার ?” ‘পাগল থাকে। আপনার মত যাদের বুদ্ধি বিবেচনা লোপ পেয়ে গেছে।’ ঠিক পাগলের মতই তখন দু’পা সামনে আগাইয়া ধনেশ তার ত্ৰিশ বছর বয়সের ভাইএর গালে চড় বসাইয়া দিয়াছিল । ধনেশের নিজের বয়স পঞ্চাশের কাছে, চুলে পাক ধরিয়াছে। মাঝখানে তিনটি বোন, তারপর এই ভাই। এত বড় উপযুক্ত ভাইকে চড় মারিয়া বসার বেঁকে অবশ্য ওই একদিনের একটিমাত্র BDBBDBD BBD DDD SSBBB DuDBDB BDu BBDDDDD DBBBDBD S মনে হইতেছিল, রমেশও বুঝি তার অবস্থা বুঝে না, তার কথা ভাবে না, অন্য সকলের মতই সে স্বার্থপর। প্ৰথমে রমেশের নিশ্চিত নিবিকার ভাব সে বুঝিতে পাবিত না । যে খবর শুনিয়া তার হৃৎকম্প উপস্থিত হইত, খবরটা মন দিয়া শুনিবার আগ্ৰহ পৰ্যন্ত রমেশের দেখা যাইত না । পরামর্শ করিতে ডাকিলে কেমন উসখুসি করিতে থাকিত, বিরক্ত হইয়া বলিত, অত ভেবে লাভ কি ? আপিস যাইতেছে, আডিডা দিতেছে, গান গাহিতেছে, বৌ আর পারুলকে সঙ্গে করিয়া সিনেমায় যাইতেছে, কিছুই যেন হয় নাই, সর্বনাশ যেন ঘনাইয়া আসে নাই ঘরের দুয়ারে। বিস্ময়ের পর জাগিয়াছিল বিরক্তি ও ক্ষোভ আর সেই মনোভাব মনের মধ্যেই পাক খাইতে খাইতে রূপ গ্ৰহণ করিয়াছিল সন্দেহের : ছেলে নাই, মেয়ে নাই, শুধু সে নিজে আর তার বেী, তাই কি রমেশ এমন নিৰ্ভয় ও নিশ্চিত হইয়া আছে ?