পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

re शानि গ্রন্থাবলী যায়, এই g একটি নিয়ম ভাঙ্গিয়া ভাই তার স্নেহমমতা, শ্ৰদ্ধা ও সন্মানের বঁাধন एङाक्रिशू ब्रिाgछ । বাড়ির মধ্যে ছোট ছেলেমেয়ে দু’টি প্ৰাণপণে চেচাইতেছে। একজনকে মারিয়া উপরে গিয়াছে উমা, আরেকজনকে মিটাইতেছে পারুল। ব্যাপারটা বুঝিয়া ধনেশ মুখ খুলিতে না খুলিতে তরবার করিয়া সিড়ি দিয়া নামিয়া আসিয়া কি জোরে ধাক্কা দিয়াই সে পারুলকে হাঁটাইয়া দিল । বেহায়া নচ্ছার মেয়ে খাইয়া খাইয়া গায়ে তার এতই কি তেল বাডিয়াছে, সময় নাই অসময় নাই ভাইবোনদের মারে ? ‘তুমি মারলে আমায়! তুমি চুপ করে দাড়িয়ে দেখলে, কিছু বললে ना दांयां 'ि পারুলের নাক ফুলিয়া উঠিয়াছে, সাদাটে সরু গলায় তিন চারটা নীল শিরা ফ্ৰাপিয়া স্পষ্ট হইয়; উঠিয়াছে, বিস্ফারিত চোখে বিহবল দৃষ্ট ।- "থাকবে না তোমাদের বাড়িতে আমি আর । নার্স হয়ে যাবো - এক্ষুণি নার্স হয়ে যাবো।” আঁচল ধরিয়া হেঁচক টান দিয়া মেয়েকে থামাইয়া উমা বলিল, “কোথা बाछिन ?' “আমি এক্ষুণি শীলাজির কাছে গিয়ে নাম লেখাবো । ছেড়ে দাও বলছি আমাকে !” গা ধুইতে নিচে নামিয়াছে, গায়ে জামা নাই । ওসব যেন গ্ৰাহও করে না, এমনিভাবে পারুল চেচাইতে থাকে। উমা আঁচল ছাড়িয়া না দিলে সে যেন বিনা কাপড়েই পথে বাহির হইয়া যাইবে, এমনি উন্মাদিনী মনে হয় তাকে । দেখিলে কল্পনাও করা যায় না, কয়েকমাস আগে এই পারুল ছিল ধীর, শান্ত ও সংযত মেয়ে, চুপচাপ সংসারের কাজ করিত, মুখে ফুটিয়া থাকিত সলজ্জ নম্র হাসি। “তোরা কি আমায় পাগল করে দিবি ।’ ধনেশ যেন আর্তনাদ করিয়া উঠিল । উপরের বারান্দায় রেলিঙে ভর দিয়া লাবণ্য নিঃশব্দে চাহিয়া দেখিতেছে । নিচের উঠানে যা ঘটিতেছে সে সব যেন অজানা অচেনা প্ৰতিবেশীর বাড়ির ব্যাপার, তার কিছু বলারও নাই করার ও নাই । ভাসুর আসিয়া দাড়ানোর অনেক আগে হইতেই সে এইভাবে এইখানে দাড়াইয়া উদাসীনের মত সব দেখিতেছিল। মাজ বাসনের তাড়া উমা পা দিয়া ছুড়িয়া দিল-দিক। দু’বছরের শিশুকে বেদম মারিয়া উমা উপরে উঠিল,-উঠুক। খেলা ফেলিয়া পাঁচ বছরের মিনু উপল্প হইতে সাবান আনিয়া দিতে না চাওয়ায় পারুল তাকে পিটাইতে