পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 शांनिक @iहावकी কষ্ট অস্বস্তি জালাবোধ সব কমে গিয়ে সৃষ্টিসংসার বুদ হয়ে আসে নেশায়, গভীর ঘুমে। অটলের যখন ঘুম ভাঙলি, রাত্রি হয়ে গেছে। এখন খাপছাড়া অদ্ভুত লাগে তার নিজেকে যে খানিক্ষণ ধাঁধা লেগে সে থ’ মেরে থাকে। গায়ে নতুন খড়ের মোট চালার নিচে মাটির পুরু দেয়াল ঘেরা তার নিজের ঘরেই যেন ঘুম ভেঙে উঠে বসেছে, তামাক টানার ইচ্ছায় কাতর হয়ে । হাত দু'তিনবার প্রায় এগিয়ে যায় পাশে মালতীকে ঠেলে দিতে, গলা দিয়ে প্ৰায় বেরিয়ে আসে তামাক দিতে বলার কথা ! রাত দুপুরে ঘুম ভাঙ্গিয়ে তামাক সেজে দিতে বললে মালতী রাগ করত না । তার জানা ছিল, তামাক খেয়ে অটল তাকে আদর করবে । মালতী আগেই উঠে বসেছিল। সশব্দে প্ৰকাণ্ড হাই তুলে অটল জিজ্ঞেস করে, “ডাকলি না যে ? “ঘুমুচ্ছে, কি হবে ডেকে ৷” গলা ভারি মালতীর, বোধ হয়। কঁদিছে । তেমন উদ্ভট লাগে না কান্নাটা এখন । গা জাল করে না। শুধু মনে হয়, মালতী যেন অনেক দূরে বসে কঁাদছে। ‘যাবি না ?

  • चन्द्र & द्र्ंउ 6शं ?

“খেয়ে নিলে হোতো না ?” “পরে খাব। তুমি খাবে তো খাও।” “থাক, এক সাথে খাব ।” আটলের গলা আশ্চর্য রকম মিষ্টি লাগে মালতীর কাছে, অনেকদিন শোনেনি । গলাটাই কেমন কর্কশ হয়ে গিয়েছিল তার, মাঝে মাঝে মিষ্টি কথা বলতে চাইলেণ্ড কড়া শোনাত। মালতী তাই অনেক দিন পরে জোরে কেঁদে ওঠে আদর-চাওয়া ভরস-চাওয়া পুরানো কান্না । “আমি যাবনি । ডর লাগছে মোর ।” অটল খিচে ওঠে না, ভেঙ্গিয়ে ভেঙ্গিয়ে বলে না যে পথে ঘাটে গণ্ডা গণ্ড পুরুষ পুরুষ নিয়ে যার কারবার, বাবুর মত ভন্ধর লোকদের কাছে একটা রাত কাটাতে তার ডর লাগছে ! হাত বাড়িয়ে সে হাত ধরে মালতীর, ধৈর্য ধরে বুঝিয়ে বলে, “তোর ভরাটা কিসের ? একটা স্নাত ও পুরো নয়। বাবু ভািব্দর লোক, লেখাপড়া জানা লোক, গুণ্ড তো নয়, তোর ড়রটা কিসের ? একটু না করবি তো এমনি