পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিস্থিতি tS জানো মাসি, জানো পিসি, মারা পড়বে তোমরা একেবারে । আহলাদী একটা শব্দ করে, অক্ষুট আৰ্তনাদের মত। মাসি ও পিসি মুখ চাওয়াচাওয়ি করে কয়েকবার। মনে হয়, মনে তাদের একই কথা উদয় হয়েছে, চোখে চোখে চেয়ে সেটা শুধু জানাজানি করে নিল তারা। মাসি বলল, জেলে নয় গেলাম কৈলেশ, কিন্তু মেয়া যদি সোয়ামীর কাছে না যেতে চায় খুন হবার ভয়ে ? বলে, মাসি বড় সালতির খড় ঠেকানো বঁাশ ছেড়ে দিয়ে লাগি গুজে দেয় কাদায়, পিসি তার তার করে পিছনে গিয়ে লাগি কাদায় গুজে হেলে পড়ে, শরীরের ভারে সরু লম্বা বড় সালতিটাকে এগিয়ে দেয়। ভঁাটার টানের বিপক্ষে । বেলা একরকম নেই। ছায়া নামছে চারিদিকে । শকুনরা উড়ে এসে বসছে পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়। একটা শকুন উড়ে গেল এ আশ্রয় ছেড়ে অল্প দূরে আরেকটা গাছের দিকে, ডাল ছেড়ে উড়তে আর নতুন ডালে গিয়ে বসতে কি তার পাখী। ঝাপুটানি। মায়ের বোন মাসি আর বাপের বোন পিসি ছাড বাপের ঘরের কেউ নেই আহলাদীর । দুৰ্ভিক্ষ কোনোমতে ঠেকিয়েছিল তার বাপ । মহামারীর একটা রোগে, কলেরায়, সে তার বেী আর ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। মাসি পিসি তার আশ্রয়ে মাথা গুজে আছে অনেকদিন, দূর ছাই সয়ে আর কুড়িয়ে পেতে খেয়ে নিরাশ্রয় বিধবারা যেমন থাকে। নিজেদের ভরণপোষণের কিছুটা তারা রোজগার করত) - ধান ভেনে, কঁথা সেলাই করে, ডালের বড়ি বেচে, হোগলা গেঁথে, শাকপাত ফলমূল ভাটা কুড়িয়ে, এটা ওটা যোগার করে । শাকপাত খুদকুঁড়ো ভোজন, বছরে দু’জোড়া থান। পরন - খরচ তো এই । বছরের পর বছর ধরে কিছু পুজি পৰ্যন্ত হয়েছিল দু'জনের, রুপোর টাকা আধুলি সিকি । দুর্ভিক্ষের সময়টা বঁচবার জন্য তাদের লড়তে হয়েছে সাংঘাতিকভাবে আহলাদীর বাপ তাদের থাকাটা শুধু বরাদ্দ রেখে খাওয়া ছাটাই করে দিয়েছিল একেবারে পুরোপুরি। তারাও তখন বিষম অবস্থা । নিজের বঁাচে কি বঁাচে না, তার ওপর জগুর লাথির চোটে গর্ভপাতে মরমর মেয়ে এসে হাজির। সে কোনদিক সামলাবে ? মাসিপিসির সেবাষতেই আহলাদী অবশ্য সেবার বেঁচে গিয়েছিল, তার বাপমাও সেটা স্বীকার করেছে। কিন্তু কি করবে, গলা কেটে রক্ত দিয়ে সে ধায় TS Y D LBDD BDB L BYBDL SDBL LD SS EL D